
Mystery death of student: শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তার ঠিক পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যু। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার পাতুলিয়া অঞ্চলে। শম্ভু চৌধুরীর ছেলে সাগর চৌধুরীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাধ্যমিকে ভালো ফল হওয়ায় পরিবারের সবাই আনন্দে ছিলেন। তবে ফল প্রকাশের একদিন পরেই মৃত্যু হল এই পড়ুয়ার। তার শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল বলে দাবি পরিবারের। পুলিশের কাছে খুন না আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখারও দাবি মৃতের বাবার। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হয়। পরীক্ষায় ভালো ফল হওয়ায় সারাদিন বেশ খুশিতেই ছিল সাগর। এমনকী, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দে কাটিয়েছে সারাদিন। তার বাবা-মাও খুশি ছিলেন বেশ। কিন্তু এরপরেই বিষাদের ছায়া নেমে এল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতের দিকে ফোন আসার পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সাগর। সে এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। শনিবার সকালে বাড়ির কাছেই এক আমগাছের নীচে তাকে খুঁজে পান বাবা-মা। তাঁরা বাড়ির সামনে থেকে গোঙানির শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন, আধমরা অবস্থায় গাছের নীচে পড়ে আছে ছেলে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন সাগরকে। চিকিৎসক পরিবারকে আরও জানান যে ওই কিশোরের কোমরের নীচ থেকে পা পর্যন্ত শরীরের হাড় টুকরো টুকরো করে ভাঙা। ছেলে আত্মহত্যা করেছে না কেউ খুন করেছে, ছেলেকে তা ভেবে পাচ্ছেন না সাগরের মা-বাবা। কী হয়েছিল তাঁদের ছেলের সাথে? বিচারের আশায় বসে তাঁরা। সাগরের বাবা বলেন, ‘পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল। সারাদিন খুশিতেই ছিল। আজ সকালে দেখি আমগাছের তলায় পড়ে রয়েছে ও। কী করে হল কিছুই বুঝতে পারছি না। ডাক্তার বলছে ওর দেহের হাড় ভাঙা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।’
পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পাতুলিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিশোর বইস্য উপস্থিত হন। পঞ্চায়েত উপপ্রধান বলেন, ‘সকালে পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ছেলেটি ভালো পড়াশোনায় ছিল। কী করে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের পাশে আছি।’ মৃত পড়ুয়ার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না বা এই বয়সে কোনও প্রেমঘটিত কারণ আছে কিনা, যার জেরে আত্মহত্যা করতে পারে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শরীরের নিম্নাংশের হাড় ভাঙা বলে খুনের কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।