পুরোনো লক্ষ্মীর ভান্ডার সব বাতিল? নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ, বিরাট আপডেট দিল রাজ্য সরকার
লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই এক চালে বিজেপিকে ভোটে মাত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার সামনে আসছে নয়া তথ্য! জেনে নিন জলদি।
লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোটবাক্সে সাফল্য দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিজেপিকে বাংলায় হোয়াইট ওয়াশ করার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে এই প্রকল্প।
আগে এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন বাংলার মহিলারা। পরে তা বাড়ানো হয়।
ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা পেতেন, সেই জায়গায় এখন তারা প্রতি মাসে পান ১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে আগে যে সকল তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে পেতেন ১ হাজার টাকা, সেই জায়গায় এখন তারা পান ১২০০ টাকা।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে চালিয়েছিল তৃণমূল। বহু জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে বলতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের।
এবার এল নয়া আপডেট! পুরোনো লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন দিয়ে নাকি আর পাওয়া যাবে না টাকা! এটা কি সত্যি? জেনে নিন রাজ্য সরকার কি বলছে।
নিজেদের এলাকায় বসে যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর শুরু করেছিল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।
যে কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করা হয়ে থাকে এবং সেই সকল এলাকায় সরকারি আধিকারিকরা নিজে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে গ্রাহকদের প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বেশি করে রাজ্যের মানুষদের নিজেদের এলাকায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়ার জন্য বছরে অন্ততপক্ষে দুটি থেকে তিনটি দুয়ারে সরকার কর্মসূচি গ্রহণ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন।
সেই মতো গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে শেষবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হয়। এরপর লোকসভা ভোট পরে যাওয়ায় কোন ক্যাম্প হয় নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প আয়োজন হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
সেখানে নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে পুরোনো লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রাপকরা নিজেদের মতই টাকা পাবেন বলে খবর। সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ ঘোষণা করা না হয়নি।
তবে মনে করা হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে কাজ ফের শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজও হয়ে যাবে।