অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধারের 'বিনিময়ে' মা-কে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় পুলিশ অফিসার

Published : Sep 18, 2025, 10:33 AM IST
woman abuse

সংক্ষিপ্ত

Crime News: নাবালিকা মেয়েকে খুঁজে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ মা। সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠল মহিলাকে কু প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ। কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Crime News: অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধারের 'বিনিময়ে' মা-কে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠলো নন্দকুমার থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। পুর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে এনিয়ে নালিশ করলেন এক মহিলা। নন্দকুমার থানার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিয়েছিল অভিযোগকারীর নাবালিকা মেয়ে। উদ্ধার করতে থানা-পুলিশ করতে হয়েছিল মা'কে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনমাস পর ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় প্রেমিক সহ তার দুই 'আত্মীয়কে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল।

কী অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার মা? 

অভিযোগ, উদ্ধার করার পরই ঘটনাটি মোড় নেয় অন্যদিকে। মামলার তদন্তকারী অফিসারের কুনজরে পড়ে যান নাবালিকার মা। তাঁর মেয়েকে ফিরিয়ে আনার বিনিময়ে সরাসরি কু-প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। রাজি না হলে ওসির নাম করে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি করেন। বেগতিক দেখে অভিযোগকারী মহিলা তার স্বামীকে নিয়ে সটান চলে যান পুলিশ সুপারের কাছে। লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ফাঁস করে দেন ওই অফিসারের কুকীর্তি। নন্দকুমার থানার এই ঘটনাকে ঘিরে এখন তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অন্দরে। অভিযুক্ত অফিসারের নাম রঞ্জিত মান্না। তিনি সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ? 

সূত্রের খবর, অভিযোগকারিনীর বাড়ি নন্দকুমার থানার চকশিমুলিয়া গ্রামে। এদিন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি তমলুকের নিমতৌড়িতে পুলিশ সুপারের অফিসে যান। সেখানে ওই সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, চারধাম যাত্রায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে উত্তরপ্রদেশের পূর্ণার্থী বোঝাই একটি বাস। গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে হুগলির গুরাপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে বাসটি। ঘটনায় ১২ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর,  মোট ৫৬ জন পূর্ণার্থীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের একটি বাস দেওঘর থেকে রওনা দিয়েছিল গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে।

 ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে ভোরবেলা একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের স্পিড বেশি থাকায় লরিটিকে বেশ কিছুদুর ঘসড়াতে ঘসড়াতে নিয়ে যায় বাসের চালক। ঘটনায় বাসের সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুরাপ থানার পুলিশ। বাসে থাকা পূর্ণার্থীদের উদ্ধার করে। বাসের ভেতর থাকা ৫৬ জনের মধ্যে ১২ জন পূর্ণার্থী গুরুতর আহত হয়। 

আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এবং বাকি পূর্নার্থীদের সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্নার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের যাতে থাকা খাওয়ার কোন অসুবিধা না হয় তা দেখা হচ্ছে এবং তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য একটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?