শ্রমশ্রী প্রকল্পতেও ২০০ টাকা কাটমানি! তোলপাড় শুরু হয়েছিল মালদার কুশিদা গ্রামে

Published : Aug 25, 2025, 12:35 PM IST
Allegation of demanding a bribe of 200 rs for applying for Shramashree project

সংক্ষিপ্ত

এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়ায় আবেদনের জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই বন্ধ আবেদন প্রক্রিয়া। ঘটনাস্থল মালদা। 

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়ার অভিযোগের ভিডিও ভাইরাল মালদার কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। তারপরেই গ্রামে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল আবেদন প্রক্রিয়া। বিপাকে শ্রমিকরা। পুনরায় এলাকায় আবেদন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ। বিরোধীদের চক্রান্তে এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিকরা লিখিত আবেদন করলে ফের প্রক্রিয়া চালু হবে দাবি তৃণমূলের। যদিও বিরোধীরা গোটা বিষয়টিকে কাটমানি ও তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবেই দেখছেন।

এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের ফল অভিযোগ বিরোধীদের। শুরু হয়েছে তরজা। তৃণমূল পরিচালিত মালদার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর এলাকার ঘটনা। তৃণমূল পরিচালিত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামীমা পারভীনের পক্ষ থেকে শ্রমশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য ওই এলাকায় পঞ্চায়েতের নোডাল অফিসারদের পাঠানো হয়। বেশির ভাগ শ্রমিক বাইরে রয়েছে। পরিবারের লোকেদের যাতে আবেদন করতে সমস্যা না হয় তাই এই ব্যবস্থা বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা করা হয়ে ছিল। কিন্তু একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যদিও সেই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

যেখানে অভিযোগ করতে দেখা যায়।এই আবেদনের জন্য প্রত্যেকের কাছে ২০০ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে। তারপরেই পঞ্চায়েত এলাকায় আবেদনের এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। বিপাকে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের লোকেরা। এদিন পুনরায় এলাকায় আবেদন প্রক্রিয়া চালুর জন্য বিক্ষোভ দেখায় তারা। শ্রমিকের পরিবারের লোকেদের দাবি তাদের দিনমজুরি করে সংসার চলে। আবেদন কিভাবে কি করতে হয়। তা তাদের জানা নেই। ফলে ব্লক দপ্তরে গিয়ে আবেদন করতে হলে তারা সমস্যায় পড়বেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা করা হয়ে ছিল। সেখানে তাদের সুবিধা হচ্ছিল। তাদের কাছে কোন টাকা চাওয়া হয়নি। তবে কেন এই প্রক্রিয়া বন্ধ হল।

অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর দাবি কংগ্রেস সিপিএম চক্রান্ত করে এই ধরনের ভিডিও ভাইরাল করেছে। তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য। তাই তিনি এই প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছেন। এলাকার মানুষ লিখিত দিলে তিনি চালু করবেন। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী রয়েছে। এক গোষ্ঠী চাইছে পরিষেবা ব্যাহত হোক। এটা তারই ফল। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রাজ্যজুড়ে আরও বাড়বে শীতের আমেজ, উইকএন্ডে কেমন থাকবে আবহাওয়া? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট
চাপের মুখে বাবরি মসজিদ নিয়ে বড় ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, দেখুন কী বলছেন