
বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে মারাত্মক ঘটনা। অধ্যক্ষের সিলমোহর ব্যবহার করে ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে তৈরি করেছিলেন ভুয়ো সার্টিফিকেট। তারপর সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি! এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত হলেন অতিথি অধ্যাপিকা জলি ভট্টাচার্য । বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে তারপর এই সিদ্ধান্তে আসেষ
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপ কুমার মাইতি সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন —“জলি ভট্টাচার্য নামে আমাদের এক অতিথি অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি যে তার অভিজ্ঞতার শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাতে কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছিল না — পরিবর্তে কলেজের অধ্যাপক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই ছিল। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, সেটি ছিল অবৈধ।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইলামবাজার কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। উপাচার্য আরও জানান, উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই জলি ভট্টাচার্যকে “টার্মিনেট” করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ অনুযায়ী, কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে তাঁর সিলমোহর ব্যবহার করে জলি ভট্টাচার্যকে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র দেন অধ্যাপক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শংসাপত্রের জোরেই জলি ভট্টাচার্যকে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপিকা হিসাবে নিয়োগ করা হয়। রাজ্যে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়, ঠিক সেই সময় এমন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে “দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ” বলেই মনে করছেন শিক্ষা মহলের একাংশ।
রাজ্য জুড়ে ভুয়ো চিকিৎসক, ভুয়ো শিক্ষক এবার প্রকাশ্যে এল ভুয়ো অধ্যাপিকার ঘটনা। ফলে উঠতি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় আশঙ্কা অভিভাবকদের। যার কাছে চিকিৎসা করছেন তিনি ভুয়ো কি না বা যার কাছে সন্তান পড়ছেন তিনি ভুয়ো কিনা তা কিভাবে জানবে সাধারণ মানুষ? উঠছে প্রশ্ন। এরা কিভাবে এতটা পাচ্ছে সাহস? কিভাবে এতটা বেপড়োয়া হয়ে উঠছে সমাজ? সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।