
WBBSE Result 2025: গ্রামে ডাক্তারের অভাব। অসুখ হলে দূরের হাসপাতালে যেতে হয় গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষদের। তাঁদের কথা ভেবে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান অঙ্কন মন্ডল। মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকারী অঙ্কন মন্ডলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অঙ্কন। তাঁদের বাড়ি বসিরহাটের টাকি পৌরসভার হাসনাবাদ রজিপুরে।
অঙ্কন মন্ডলের বাবা পেশায় শিক্ষক। ছোটোবেলা থেকেই মেধাবী অঙ্কন, শিক্ষক পরিবারে বড় হলেও তার ইচ্ছা উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে এগিয়ে যাবে সে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় মাধ্যমিকের এই কৃতী ছাত্র। জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিল অঙ্কন। সে জানায়, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চাইছে। সে এও জানায়, তাদের এলাকায় কোনও ডাক্তার নেই। দীর্ঘদিন ধরে সে চোখের সামনে দেখে আসছে বিনা চিকিৎসায় অনেক মানুষ শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনকি মারাও গিয়েছেন। তাই আগামী দিনে আরও ভালো পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়ে দেশ ও দশের কাজে নিয়োজিত হতে চায় সে। একই সঙ্গে অঙ্কন জানিয়েছে, তার এই সাফল্যের পিছনে তার বাবা-মা ও স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অন্যদিকে, মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল কাকদ্বীপের সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সৌভিক দিন্দা। ছোটবেলা থেকেই সে পড়াশুনায় মেধাবী ছিল (Madhyamik Result 2025)। তবে কোনও দিন নির্দিষ্ট সময় বা রুটিন মেনে সে পড়াশোনা করেনি। যখনই মন চাইতো তখনই পড়াশোনা করত। ভবিষ্যতে সৌভিক ডাক্তার হতে চায়। তবে গণিত তার ভালো লাগলেও ইতিহাস সবচেয়ে প্রিয় বিষয় সৌভিকের। এ বিষয়ে সৌভিক বলেন, ''ভবিষ্যতে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। তাই ভবিষ্যতে ইতিহাস বিষয়টিকে নিয়ে খুব অভাব অনুভব করবো।''
উল্লেখ্য, মাত্র ৭০ দিনের ব্যবধানে প্রকাশিত হল ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। প্রত্যাশা মতই এ বছরও মেধাতালিকায় শহর কলকাতার থেকে এগিয়ে জেলার স্কুলগুলি। এদিন মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হতেই উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে তিনি লেখেন, ''এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন! আগামীদিনে তোমরা আরো সফল হবে - এই প্রত্যাশা আমি রাখি। তোমাদের জীবনের এই স্মরণীয় দিনে, আমি তোমাদের বাবা-মা, অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের সমর্থন ও পথনির্দেশই তোমাদের এই সাফল্যকে সম্ভব করে তুলেছে। যারা আজ ভালো ফল করতে পারোনি তাদের বলব: হতাশ হয়ো না। চেষ্টা করো। আগামীদিনে সাফল্য আসবেই। তোমাদের সকলকে আরো একবার আমার প্রাণভরা আশীর্বাদ ও শুভকামনা জানাই। ভালো থেকো সকলে।''
প্রসঙ্গত, এই বছর মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Students) সংখ্যা ছিল ৯,৮৪,৮৯৪ জন। গত বছরের তুলনায় ৬২ হাজার পরীক্ষার্থী বেশি ছিল। এবছর রাজ্য জুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৬৮৩ টি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।