বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি চেয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে স্পষ্টত ‘নোংরামি’ বলে সম্বোধন করেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে অনড় রয়েছে সংগ্রামী মঞ্চ। সরকারি কর্মচারী, আধা সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স এবং পুরসভার কর্মী-সহ আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্ব করছে এরকম ২৮টি সংগঠন নিয়ে দাবি জানাচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কলকাতার শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনকারীদের প্রাপ্য অর্থের দাবিকে এবার প্রকাশ্যে সমর্থন জানালেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী তথা চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন।
গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার দাবি নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। ডিএ দিতেই হবে। এই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সরকারও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের কর্মীদের হারে ডিএ চাইলে চলে না। রাজ্যের কোনও ডিএ বাকিও নেই। এতে মোটেই জট কাটেনি। রাজ্যে মহার্ঘ ভাতা ও সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। ২৮টি সরকারি সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চ। এই বিষয়েই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ডিএ ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অপর্ণা সেন বলেন, “ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে”।
অপরদিকে, বীরভূমের বোলপুরে বাংলার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে সম্প্রতি বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য তুঙ্গে ওঠে।। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। তবে, বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ এই দাবি একেবারেই মানতে চাননি। উলটে, তিনি বলেন যে, যেহেতু বরাবরই তিনি দেশের সাম্প্রদায়িকতা রক্ষা এবং জনগণের ওপর শাসকের অনাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এসেছেন, তাই প্রতিশোধস্পৃহাবশত তাঁর জমি কেড়ে নিতে চাইছে দেশের কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁর বাড়ির জমির দলিল তাঁকে হস্তান্তর করে দিয়ে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে পদ্মশ্রী বিজয়ী পরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, “এটা একটা অত্যন্ত বাজে ব্যাপার।” অমর্ত্য সেনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্বভারতীর ‘হেনস্থা’-র বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, “এরকম পণ্ডিত একজন মানুষ, এতও বড় স্কলার, তাঁর সাথে এরকম ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা নোংরামি। এটা শুধু নোংরামি।”