বাংলায় অর্থাৎ এ রাজ্যে কি বিজেপি নিজের পালে হাওয়া লাগাতে পারবে! প্রশ্নটা উঠেছিল সমীক্ষায়। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু একাধিক। যার মধ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর সন্দেশখালি।
লোকসভা ভোট ২০২৪-এর একমাসও বাকি নেই। তার আগে এশিয়ানেট নিউজের এক্সক্লুসিভ সমীক্ষায় দেশ জুড়ে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট। কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি ও এনডিএ। কিন্তু বাংলায় অর্থাৎ এ রাজ্যে কি বিজেপি নিজের পালে হাওয়া লাগাতে পারবে! প্রশ্নটা উঠেছিল সমীক্ষায়। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু একাধিক। যার মধ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহানের সন্ত্রাস কি লোকসভায় তৃণমূলের কফিন তৈরি করবে! বিজেপি কি পারবে এই ইস্যুকে সামনে রেখে ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতে।
এশিয়ানেট নিউজের বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি, তামিল, তেলুগু, মাললায়ম, কন্নড় ও মারাঠি ভাষার নিউজ এডিটরদের করা সমীক্ষায় সাড়া দিয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। ১৩ই মার্চ থেকে ২৭শে মার্চের মধ্যে করা সমীক্ষায় উত্তর মিলেছে ৭,৫৯,৩৪০ জনের কাছ থেকে। সন্দেশখালি নিয়ে কী বলছে জনমত, দেখে নিন।
বাংলায় বর্তমানে শাসক বিরোধী হাওয়া ব্যাপকভাবে কাজ করছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের গড় ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।' ৪২টি আসনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গত নির্বাচনে ২২টি আসনে জয় পেয়েছিল। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ১৮টি আসন। ২টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস।
মুড অফ দ্য নেশন সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জনমতের ট্রেন্ড বলছে ভোটাররা আর বিনামূল্যে উপহার বা জনমোহনী প্রতিশ্রুতির জন্য ভোট দিতে চাইছেন না। উত্তরদাতাদের ৮০.৫ শতাংশ বলছেন প্রার্থীর প্রোফাইল বা ফ্রিবিজ নয় - তাদের ভোট নির্ধারণের কারণ হবে উন্নয়ন - জাতগত গতিশীলতা। এখানেই হয়ত ক্লিন সুইপ করে বেরিয়ে যাবে বিজেপি। কারণ এবার তাদের হাতে রয়েছে উন্নয়ন ও মোদী ম্যাজিকের তাস। সন্দেশখালিতেও এই তাস খেল দেখাবে বলে মনে করছেন উত্তরদাতাদের একাংশ।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নন্দীগ্রামে যে আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই শাসক বিরোধী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে সন্দেশখালিতে। বিজেপির বক্তব্য, তারা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাইছেন যে পশ্চিমবঙ্গে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তারই দলের কিছু নেতা লাগাতার মহিলাদের ওপরে যৌন নির্যাতন-সহ নানা অত্যাচার চালিয়ে গেছেন। আর তাই সন্দেশখালি ফ্যাক্টর এবারের ভোটে বড় ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে। যাকে কাজে লাগাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।