অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের বাজেয়াপ্ত করা অর্থ যাতে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কাজ করছেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১জুন পর্যন্ত ৭টি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। জোটগত আলোচনা ও আসন বণ্টন শেষ হলে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কৃষ্ণনগরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায় লড়বেন বলে ঘোষণা করেছে বিজেপি।
এমন পরিস্থিতিতে অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পশ্চিমবঙ্গের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের বাজেয়াপ্ত করা অর্থ যাতে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কাজ করছেন। মোদী আরও বলেন যে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা অর্থ ও সম্পদ যা দরিদ্রদের কাছ থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেগুলি দরিদ্রদের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য আইনি উপায় খুঁজে বের করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে বিজেপি দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অন্যদিকে সব দুর্নীতিবাজ একে অপরকে বাঁচাতে এক জোট হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মোদী পরিবারকে ভোট দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, তৃণমূল অভিযোগ করেছে যে রাজমাতা অমৃতা রায়ের পরিবার, যাকে বিজেপি কৃষ্ণনগর আসন থেকে প্রার্থী করেছে, তারা ব্রিটিশদের সমর্থন করেছিল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, তখন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে ভুল বলেছেন অমৃতা রায়। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি প্রত্যেক বাঙালি এবং ভারতীয় একমত হবে যে আমার পরিবার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা কেন এটা করল? সিরাজ-উদ-দৌলার অত্যাচারে তিনি এ কাজ করেছেন। তিনি যদি তা না করতেন তাহলে কি হিন্দু ধর্ম টিকে থাকত? সনাতন ধর্ম কি বেঁচে থাকত? না।
২০১৯ সালে, বিজেপি রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি জিতেছে। রাজ্যে যেসব আসনে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেখানেও থাবা বসিয়েছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এবারও আরও ভাল ফল করার ব্যপারে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।