অসহায় বৃদ্ধকে বাবা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ, জেলায় ফের ভুয়ো বাংলাদেশি ভোটারের হদিশ

Published : Aug 16, 2025, 12:22 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Nadia Fake Voter: অসহায় বৃদ্ধ ভ্যান চালককে বাবা সাজিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তোলার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তারপর কী হল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Nadia News: অসহায় দরিদ্র ভ্যানচালককে বাবা সাজিয়ে ভোটার লিস্টের নাম তোলার অভিযোগ এক বাংলাদেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ঘটনাটি রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর ২১০ নম্বর বুথের।

রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর ২১০ নম্বর বুথের যে ভোটার তালিকা সেই ভোটার তালিকায় একটি নাম জ্বলজ্বল করছে। ভোটার তালিকায় ৩২৮ নাম্বার যে নামটি রয়েছে তার নাম সনজিত ঘোষ বাবার নাম গোপেশ্বর ঘোষ। প্রথমে দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না এই ভোটারটি বাংলাদেশি। পরবর্তীতে অন্তর তদন্তের পর জানা যায় এই সনজিত ঘোষের যিনি বাবা রয়েছেন আসলে তিনি তার বাবাই নন।

 বাংলাদেশ থেকে এসে ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্যই গোপেশ্বর ঘোষকে বাবা সাজানো হয়েছে। অন্তর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় পুরোটাই ভুয়ো। আমরা প্রথমে সঞ্জিত ঘোষ এর বাবার গোপেশ্বর ঘোষের বাড়িতে যায়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এই সঞ্জিত ঘোষ গোপেশ্বর ঘোষের সন্তানি নন। এলাকার প্রতিবেশীরা কেউ চিনতে পারেন না এই সনজিত ঘোষকে। 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা পৌঁছায় গোপেশ্বর ঘোষের কাছে। গোপেশর বাবু একজন ভ্যান চালক দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। হতদরিদ্রতার সাথে এই বৃদ্ধ বয়সেও ভ্যান চালিয়ে সংগ্রাম করে চলেছেন। এই গোপেশর ঘোষ কে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি স্পষ্টতো জানান সনজিত ঘোষ নামে তার কোন সন্তান নেই এবং এই সনজিত ঘোষকে তিনি কোনদিন দেখেনিনি। 

অন্যদিকে সনজিত ঘোষকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তিনি প্রস্তুত স্বীকার করেন বহু বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করার পর তিনি কোনো রকম ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারছিলেন না। তাই তিনি হাতে-পায়ে ধরে গোপেশ্বর ঘোষের নথি নিয়ে তিনি ভোটার তালিকায় নাম তোলেন।

আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন তাহলে হত দরিদ্র পরিবারগুলোকেই নিশানা করে তাদের বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করে বাবা সাজিয়ে এই বাংলাদেশিদেরকে ভোটার তালিকায় নাম তোলা হচ্ছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

যদিও এ বিষয়ে শাসকদলের দিকেই অভিযোগের তীর বিরোধী শিবিরের। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়েই শাসকদলের নেতারাই এই ধরনের কাজ করছেন। অন্যদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকেও তৃণমূল বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন। তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলেই দাবি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ছুটির দিনে মহানগরের পারদ পতন, শীতে জবুথবু কলকাতায় আর কতটা নামল তাপমাত্রা?
Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের