কাকাকে বাবা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ, ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল ভুয়ো বাংলাদেশি ভোটারের

Published : Nov 13, 2025, 12:03 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Bangladeshi Voter: কাকাকে বাবা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Bangladeshi Voter: নিকট আত্মীয়কে বাবা সাজিয়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরির অভিযোগ বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের। বেশ কিছু বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এদেশে চলে এসেছিলেন এক যুবক। সফিক গাজী নামে ঐ যুবক বাংলাদেশী হলেও বর্তমানে তাঁর এদেশের ভোটার কার্ড, আঁধার কার্ড সবই তৈরি হয়েছে। সমস্ত পরিচয় পত্রে তাঁর স্ত্রীর কাকা জয়নাল গাজীকে নিজের বাবা বলে উল্লেখ করেছেন সফিক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার প্রতিবাদ করে থানা ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ জয়নাল গাজী। ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দুমকি গ্রামের ঘটনা।

ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?

দিল্লিতে সালেমা গাজীর সাথে পরিচয় হয় সফিকের। বাংলাদেশ থেকে এসে দিল্লিতেই থাকতো সফিক। সালেমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ক্যানিংয়ে চলে আসে সে। সেখানে শ্বশুরবাড়িতেই স্ত্রীকে নিয়ে থাকে সফিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সালেমার কাকা জয়নাল গাজীর পরিচয় পত্র ভাঁড়িয়ে তাঁকে বাবা সাজিয়ে নিজের ভোটার কার্ড ও আঁধার কার্ড তৈরি করেছে সফিক। বছর খানেক আগে বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন জয়নাল। ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এস আই আর আবহে রাজ্য জুড়ে ভুয়ো নাগরিকদের শনাক্ত করার তোরজোড় শুরু হতেই ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন জয়নাল।

নির্বাচন কমিশনে নতুন করে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ক্যানিং মহকুমা শাসকের দফতরেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর থেকে সফিক গাজী গা ঢাকা দিয়েছেন। যদিও তাঁর স্ত্রী সালেমা গাজী দাবি করেছেন, জয়নাল গাজীই সফিকের বাবা। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন তিনি। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।

অন্যদিকে, গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের চলছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। আগেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম জমা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি ২০০২ সালের SIR-এ নাম থাকলেই এবার পাওয়া যাবে এপিক নম্বর।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম জমা দিতে না পারলে কোনও সমস্যা নেই। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খসড়া তালিকা প্রকাশের পরেও নাম তোলা যাবে ভোটার লিস্টে। আর যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাদের নাম তোলা নিয়ে সমস্যা নেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

'বাবরি মসজিদ তৈরি হবেই, হবেই, হবেই', ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বাজেট ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের
'মমতা আগুন নিয়ে খেলছেন', হুমায়ুনকে দিয়ে মরুকরণের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ বিজেপির