
North Bengal News: লক্ষীর ভাণ্ডার নিলে খারাপ রাস্তা দিয়েই চলার নিদান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিডিও-র। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ, চরম দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। রাজগঞ্জ ব্লকের বিডিও ঘটনাস্থলে এসে মেজাজ হারালেন। লক্ষীর ভাণ্ডার নিলেই হবে রাস্তা এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি আধিকারিক।
রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর অঞ্চলের নর্থ বেঙ্গল ফার্ম এলাকার রাস্তার বেহাল দশা। এই অবস্থার প্রতিবাদে এদিন পথ অবরোধে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধে বহু মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা, সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তাঁরা রাস্তার উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যার ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৪০ বছর ধরে রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যেমন কষ্টকর, তেমনি বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বহুবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাঁদের।
এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক স্থানীয় মহিলা বলেন, "আমরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। রোগী, ছাত্রছাত্রী, শ্রমিক—সবাই ভুগছে। কিন্তু কেউ শুনছে না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।"
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন আধিকারিকেরা। একটু পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রাজগঞ্জ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক প্রশান্ত বর্মন। পথ অবরোধ দেখে প্রথমেই মেজাজ হারান তিনি। মহিলাদের উপর চড়াও হতেও দেখা যায় বিডিওকে। এমনকি তিনি এটাও বলেন, ‘’১০০ জন লক্ষীর ভাণ্ডার না নিলে রাস্তা তৈরি হতে সময় লাগবে না।'' পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা মেরামতির আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, আরামবাগ মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিচ্ছে । লাগাতার টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ডিভিসি ছাড়া জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা । আরামবাগ থেকে কলকাতাগামী, জাতীয় সড়কের রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে মানুষজনকে । জলের উচ্চতা যদি আরও বাড়তে থাকে তাহলে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়ে পারে ।
ইতিমধ্যে আরামবাগের বিস্তীর্ণ চারটি এলাকা জলের নিচে চলে গিয়েছে । আবারও নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কাঁচা ও পাকা বাড়ি একতলায় জল ঢুকে পড়াই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা । মায়াপুর এলাকায় একাধিক দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
দোকান থেকে তড়িঘড়ি মালপত্র সরানোর কাজ চলছে। মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল খালের মাধ্যমে মায়াপুরের জাতীয় সড়কের রাস্তার উপর দিয়ে বইছে । এই জলে একাধিক গ্রাম হচ্ছে প্লাবিত । ডিভিসির জল ছাড়া যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এরকমটাই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।