
একযোগে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন বুধবারে ভারত বনধের ডাক দিয়েছ। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক নীতির বিরোধিতা করেই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই বনধে ব্যাঙ্ক কয়লা খাদান থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক, হাইওযে নির্মাণ সকলেই অংশ নিতে পারেন। প্রায় পঁচিশ কোটি কর্মী বনধ পালন করার দাবি করা হয়েছে।
কারা যোগ দিয়েছে
দেশের প্রায় ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চ এই বনধের জাক দিয়েছে। আর সমর্থন করছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস, হিন্দ মজদুর সভা, সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার, ট্রেড ইউনিয়ন সমন্বয় কেন্দ্র, স্ব-কর্ম সংস্থানকারী মহিলা সমিতি, অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়নস, লেবার প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন, ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস।
আজ কী কী বন্ধ
আজ ভারত বনধের প্রভাব পড়তে পারে পোস্ট অফিসগুলোতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও সমবায় ব্যাঙ্কগুলোতে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। তবে, বেসরকারি ব্যাঙ্ক খোলা থাকছে। ধর্মঘট এবং রাস্তা অবরোধের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে যানজট হবে পারে। আজ ক্যাব বাইর ট্যাক্সি কম চলতে পারে। সরকারি ইস্পাত ও খনিজ সংস্থার কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দিতে পারে। তেমনই বিদ্যুৎ কর্মীরাও ধর্মধটে সামিল হতে পারে।
কী কী খোলা থাকছে
তেমনই আজ খোলা থাকবে স্কুল, কলেজ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। আজ বেসরকারি অফিসগুলো খোলা থাকবে। তেমনই আক রেস পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। সেই সঙ্গে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলের মতো জরুরি পরিষেবাগুলো স্বাভাবিক থাকবে। ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়বে না শেয়ার বাজারেও।
এই বনধ রুখতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ প্রতিটি ডিভিশনের জন্য ডেপুটি কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার অফিসাররা। বাজার, শপিং মল, অফিস পাড়া, স্কুল ও কলেজ এলাকায়া বাড়তি পুলিশ থাকবে আজ।