
এসআই আর আতঙ্কে যারা মারা গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা অসুস্থ হয়েছে তাদেরও ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু SIR- ইস্যুতে এভাবে ক্ষতিপুরণ দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মালদহে একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি জানান নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি রাখছি আমি। মৃত এবং অবৈধ ভোটার রাখার জন্য কেউ যদি চাপ দিয়ে রাখেন তাহলে বিডিওরা দিয়েছেন। তৃণমূলের নেতারা চাপ দিয়েছে। নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করে দেখতে হবে কে কার চাপের কারণে মারা যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি বলেও দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন এক কোটি ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড। ৭ হাজার কোটি টাকা সাইফন করেছে। বাংলাদেশীদের খাতে শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয় ১০০ দিনের কাজের টাকাও চলে গেছে বাংলাদেশী মুসলিম অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কাছে। তিনি বলেন,' আমি হিসাব দিচ্ছি মুখ্যমন্ত্রীকে। আপনি ইউ পি এ টু তে ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার আপনাকে টাকা দিয়েছে ২ লক্ষ কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০১৪ থেকে ২০২৪ আপনাকে টাকা দিয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২ এর পর চুরি ধরা পড়েছে ওই জন্য তদন্ত চলছে। এই সময়কালে মোদীজির সরকার ১০০ দিনের টাকা আপনাকে দিয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদী সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পে ৪০ লক্ষ বাড়ি ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি প্রশ্ন করছি। আপনি এর উত্তর দেন। হাসিমারা এয়ারপোর্ট এর জন্য ২৫ একর জমি চেয়েছে ভারত সরকার আপনি দেননি। মালদা বালুরঘাট এয়ারপোর্ট থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলেছে আপনি করতে দেননি। বাগডোগরাতে আরো একটি এয়ারপোর্ট করতে চেয়েছে আপনি জমি দেননি। দুহাত তুলে পশ্চিমবঙ্গ কে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপনি কার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছেন।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে SIR আতঙ্কে ৩৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বলেন, 'এঁদের প্রত্যেকের পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবে।' রাজ্যে SIR আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ১৩ জন। এঁদের মধ্যে কাজের চাপে অসুস্ছ হয়ে পড়া বিএলও-র সংখ্যা ৩ । এই ১৩ জনকেই ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।