২০২১ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে উঠে আছে। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই শুরু হয়েছে রাজ্যে। দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গে একবার বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধের লড়াই করছে। সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে দাবি করলেও তেমনভাবে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের জনসভা থেকে তৃণমূলের পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শুভেন্দু। যদিও দিন কয়েক আগেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে বামেদেরও নিশানা করেছিলেন। সিপিআই(এম)এর বিরুদ্ধে চিরকূটে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন তৃণমূল চাকরিতে বেআইনি করার জন্য দোকান খুলে বসেছে।
যাইহোক এদিন শুভেন্দু দলীয় সভায় বলেন, ২০১১ সালের নির্বাচনের পরে সিপিআই(এম) ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। পরের নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু দুটি দল কখনই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। ২০২১ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে উঠে আছে। তারপর থেকেই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই শুরু হয়েছে রাজ্যে। দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। আর সেই ভোট রাজ্যের মানুষ যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট না দেয় তারও স্লোগান তোলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশ বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন এই রাজ্যে ভোটের রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে গুন্ডামি বন্ধ করে দেবে বলেও হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন প্রতিটি রাজনীতিক দলেরই বাংলায় থাকার অধিকার রয়েছে। এগুলি নিয়ন্ত্রণে করার চেষ্টা শাসক দলের ক্ষেত্রে বুমেরাং হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে এদিন শুভেন্দু তৃণমূলের পাশাপাশি বাম ও কংগ্রেসকেও একহাত নেন। তিনি বলেন সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস দুটি দলই রাজ্যের ভোট ভাগ করছে। পাশাপাশি ধর্মীয় ইস্যুতে ভোটারদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে দুটি দল যে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকেও সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে চিহ্নিত করে তাই নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি। বিরোধীরা গণতন্ত্র মানে না বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। মোদীর হাতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বিরোধীরা বয়কট করেছে। তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিন সোনারপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। বিজেপির মিছিল ছিল বর্ণাঢ্য। দলীয় সভায় ভিড়ও ছিল চোখে পড়ান মত। শুভেন্দুও দলীয় নেতা কর্মীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুনঃ
সাবধান! মাত্র ২০ বছর পর রাতের আকাশে কোনও তারা দেখা যাবে না- রইল তার কারণ
অমিত শাহের সফরের আগেই রক্তাক্ত মণিপুর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন নিহত ৪০ বিচ্ছিন্নতাবাদী
'কেমনভাবে দেশ চালাবেন তার টিজার দিলেন মোদী', নতুন সংসদভবন নিয়ে অভিষেকের অভিযোগ