নতুন করে জল্পনা উঠেছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের এলাকা কেশপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে।
কেশপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা টলি অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে জল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির সঙ্গে তাঁর একটি ছবি সামনে এসেছে, যা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে তুমুল শোরগোল। এখনও পর্যন্ত অজিত মাইতি স্বীকার করেছেন ‘হিরণ নিশ্চয় দলে আসতে চেয়েছেন বলেই আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমিও ছিলাম।’ এই নিয়ে বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গেছে জোর জল্পনা। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এবার নতুন করে জল্পনা উঠেছে তাঁর এলাকা কেশপুরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ৪ ফেব্রুয়ারি কেশপুরে সভা করবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনেই কি তৃণমূলে আবার ফিরে আসবেন একদা যুবতৃণমূল নেতা তথা বর্তমানের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়? বিষয়টি আরেকটু উসকে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘হিরণ নিয়ে বিজেপি সান্ত্বনা পুরষ্কারের কথা ভাবছে। কেউ অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। কেউ চাইছেন তাড়াতাড়ি যোগ দিতে। অনেকে আবার দূর্গাপুরের বৈঠকের মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ করছেন। বিজেপি জানেই না, অনেকে দল বদল করতে প্রস্তুত। যোগদান মেলায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা নিয়োগ মেলায় আসতে প্রস্তুত। আদি বিজেপিরাও কথা বলছেন। উট পাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে যদি ভাবে ঝড় আসেনি, তাহলে ভুল ভাবছেন।’
অপরদিকে, হিরণের সঙ্গে যে বিজেপি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সম্পর্কে সুমধুর নয়, তার প্রমাণ তখনই পাওয়া গেছে, যখন দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কার্যালয়ে হিরণের ছবি ভাইরাল হওয়া নিয়ে কার্যত দায় ঝেড়ে ফেলে সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যাঁর ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাঁকেই এর কৈফিয়ত দিতে হবে।’ এই সরগরম পরিস্থিতির মধ্যেই দেখা গেছে হিরণের টুইটার অ্যাকাউন্ট। যেখানে প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে ‘পৌরপিতা’ এবং ‘বিধায়ক’ পদের উল্লেখ থাকলেও ‘বিজেপি’ শব্দটির আর উপস্থিতি নেই।
১০ জানুয়ারি দুর্গাপুরে আয়োজিত বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির ছিলেন না হিরণ চট্টোপাধ্যায়। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন যে, তিনি বিদেশে যাবেন। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘পদাধিকারীদের বৈঠকে হিরণের থাকার কথা নয়।’ কিন্তু, তার দিনকয়েক পরেই তৃণমূল কার্যালয়ে বসা অবস্থায় তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়। যদিও, তৃণমূলে তিনি আগেও ছিলেন, যখন যুব তৃণমূলের নেতা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভালোই খাতির ছিল। তারপর বিজেপিতে গিয়ে খড়গপুরের কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালের ভোটে জিতে তিনি বিধায়কও হন। কিন্তু, এ ছবি ততদিন আগে তোলা কিনা, তা অবশ্য একেবারেই মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে, হিরণের কাছ থেকে সামান্য কিছু ‘ইঙ্গিত’ পাওয়া গেলেও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তাঁকে নিয়ে যে বেশ একটা মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের লোফালুফি চলছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তা সরগরম করে তুলেছে বাংলার রাজনীতিকে।
আরও পড়ুন-
কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে নয়া পদক্ষেপ, সভাপতি ব্রিজভূষণের পর সাসপেন্ড ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বিনোদ তোমার
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কত বাড়ল জ্বালানির দাম? জেনে নিন রবিবারের আপডেট
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়োতে গাড়ির সিটবেল্ট পরেননি ঋষি সুনক, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুলিশের কাছে দিতে হল জরিমানা