বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যেতেই আলিপুরদুয়ারে শুভেন্দুর জনসভা, পরের দিনই কোচবিহারে অভিষেক

Published : Feb 09, 2023, 03:15 PM IST
Image of  Suvendu Abhishek

সংক্ষিপ্ত

আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দলবদলের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু অধিকারী, পরের দিন কোচবিহারের জনসভায় বন্তব্য রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সুমনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর জনসভার ঠিক এক দিন পরে উত্তরবঙ্গের আর এক জেলায় সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভা রয়েছে কোচবিহারে। জেলা তৃণমূলের তরফে এই সভা আয়োজিত হতে চলেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। যদিও ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক। ফলত, কোচবিহারের সভা কখনওই শুভেন্দু অধিকারীর পালটা সভা নয়। অভিষেকের জনসভার নির্ঘণ্ট স্থির হয়ে গিয়েছিল প্রায় এক মাস আগেই।

উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু হল, পৃথক রাজ্য ভাগ। বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বাংলা ভাগ’ করার চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন। একদিকে, ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনের প্রচারে এসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই ত্রিপুরা রাজ্য ভেঙে নতুন রাজ্য তৈরি করা হবে না। অন্য দিকে, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা বারবার উত্তরবঙ্গকে আলাদা একটি রাজ্য করে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। এই দুই রাজ্যের ক্ষেত্রে বিজেপির দুই ভিন্ন অবস্থানকে ‘ভণ্ডামি’ এবং ‘দ্বিচারিতা’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েই কেন্দ্রের শাসকদলকে নিশানা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় গিয়ে অভিষেকের হাত ধরে সুমন কাঞ্জিলালের দলবদলের পরেই তড়িঘড়ি বিরোধী দলনেতার সভার আয়োজন করা হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। এটাও কোনওভাবেই তৃণমূলের সভার পাল্টা সভা নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় দিয়ে শুরু করে পর পর চার জন বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই পরিষদীয় দলে ভাঙ্গন রুখতে অনেকটাই সফল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। ২০২২ সালে গেরুয়া শিবিরের কোনও বিধায়ক শাসকদলে নাম লেখাননি। তাতে স্বস্তি ফিরেছিল বিজেপির শিবিরে। কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গোড়াতেই ধাক্কা লাগল আলিপুরদুয়ারে। সেই ধাক্কা সামলে আলিপুরদুয়ারের নেতাকর্মীদের মনোবল ফেরাতেই শুভেন্দুর এই সফর।

আরও পড়ুন-

মাত্র ২টি উত্তরে পেনের কালি, উত্তর দেখেই সুপারিশ হওয়া চাকরিপ্রার্থীর খাতা ধরে ফেলতেন কুন্তল ঘোষ
ধ্বংসের নীচে ভাইকে আগলে শুয়ে রয়েছে ছোট্ট দিদি, সিরিয়ার ভিডিয়ো দেখে চোখে জল সারা বিশ্বের
গ্রেফতার হওয়ার পর ফের সম্পর্ক জুড়ে নেওয়ার অনুরোধ করছেন স্বামী আদিল, সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক রাখি সাওয়ান্ত

PREV
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?