বীরভূমের ময়ুরেশ্বরে বিজেপি নেতা শুভেন্দুর জনসভা। আক্রমণ অনুব্রত মণ্ডল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়াল, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শ্যামাপদ মণ্ডল। সভার শুরুতেই ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডল সহ কয়েকজনের নাম নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'এখানে ওই সমস্ত মস্তানরা আছেন নাকি? ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুব দাপিয়েছেন। ২০২১ সালের পর খুব মেরেছেন বিজেপি কর্মীদের। যদি বাপের ব্যাটা হন মারা তো দুরের কথা একটা হুমকি বিজেপি কর্মীদের দিয়ে দেখবেন আপনাদের অবস্থা কেরিমঅনুব্রত মণ্ডলের গড়ে গিয়ে আবারও সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মারলে পাল্টা মার দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপি নেতা, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি জেলার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম করে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিলে আপনাদের অবস্থাও অনুব্রত মণ্ডল, কেরিম খানদের মতো হবে। সভা শেষে তিনি জানিয়ে যান আগামী ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন। সেখানে গনহত্যায় নিহতদের স্মরণ করবেন।
শনিবার বিকেলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুরে প্রকাশ্য সভার আয়োজন করে বিজেপি। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। খানের থেকেও খারাপ করে দেব। এবার আর আগের নির্বাচনের মতো মস্তানি করতে দেওয়া হবে না। এই বীরভূম তোলাবাজ কেষ্ট মণ্ডলের নামে পরিচিত হবে না। এই বীরভূম মা তারা, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাউলদের নামে পরিচিত হবে। আমরা শপথ নেব আগামী দিনে বীরভূম থেকে গুণ্ডামি, জেহাদিদের পরিস্কার করে এখানে রাষ্ট্রবাদি আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করব।'
শুভেন্দু বলেন, 'আমাদের একটাই লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবার আর মনোনয়নে ব্লকে, ভোটের সময় বুথে এবং গণনা কেন্দ্র দখল করতে দেব না। এক সময় জেলার নেতা বলতেন বুথে এলে গুড় বাতাসা দেবেন, চড়াম চড়াম ঢাক বাজাবেন, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আজ কোথায়? হারিয়ে গেছেন। অপেক্ষা করুণ তিহার জেলে গেলে বেলের মোরব্বা, অষ্টমীর দিন লুচি ডাল, দশমীর দিন কচি পাঁঠার ঝোল সব বেরিয়ে যাবে। এই চোর লুঠেরাদের বিরুদ্ধে গোটা বীরভূমের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এরা আবাস যোজনার টাকা লুঠ করেছে। ভাইপো উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছে বাংলা আবাস যোজনা। ওটা পিসিমনি যোজনা হবে। হাজার হাজার শৌচালয় দিয়েছেন মোদীজি কিন্তু কেউ পাননি। গ্রাম বাংলায় বাড়ি পিছু ৩০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন মোদী সরকার, বাড়িতে ফলের বাগান করার জন্য জব কার্ড হোল্ডারদের ১৫ হাজার টাকা করে ভারত সরকার দিয়েছে। কিন্তু কেউ পাননি। লুঠ করেছে বাংলার সরকার।'
২১ মার্চ বগটুই গ্রামে গনহত্যা হয়েছিল। তার বর্ষপূর্তিতে আমি বগটুই গ্রামে যাবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। পরীক্ষা চললে মাইক বাজাবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা স্মারক তৈরি করবে। সেই স্মারকের উদ্বোধন করা হবে। পুস্পার্ঘ নিবেদন করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি ভাদু আর আনারুলদের সৃষ্টি করেছেন তাদের ওইদিন বিজেপির তরফ থেকে ধিক্কার জানান হবে বলেও জোর গলায় বলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুনঃ
মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টাতেই জয়পুর, দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের সেরা ১০টি পয়েন্ট দেখুন ছবির সঙ্গে
১২ বছর পর সিলভারস্ক্রিনে কামব্যাক শর্মিলা ঠাকুরের, 'গুলমোহর'-এ সঙ্গী মনোজ বাজপেয়ী
ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? নাম না করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন কংগ্রেস নেতা