সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেস জোট ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করছে। কংগ্রেস বাম যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ত্রিপুরার বাম নেতা।

 

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ডঙ্কা বেজেঢ গেছে আগেই। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসভা করেছেন। একই সঙ্গে রাজ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই (এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এই অবস্থায় কংগ্রেসের এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ত্রিপুরার বাম-কংগ্রেসের জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস যদি ত্রিপুরার সমনদ দখল করতে পারে তাহলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হবে রাজ্যেই ভূমিপুত্র। কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, যিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি অবশ্যই প্রবীন বাম নেতা ও রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি নেতা।

কে এই বাম নেতা?

কে এই বাম নেতা? কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের পর থেকেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে জল্পনা এই প্রশ্ন নেই। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সিপিআই (এম) কিছুই বলেনি। সিপিআই(এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন বাম আর কংগ্রেস যদি ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসে তাহলে নবনির্বাচিত বিধায়করাই তাদের নেতা নির্বাচন করবে। কিন্তু কংগ্রেসের নেতার মন্তব্যের পর থেকেই এক সিপিআই(এম) নেতাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাঁর নাম জিতেন্দ্র চৌধুরী।

জিতেন্দ্র চৌধুরী-

জিতেন্দ্র চৌধুরী ত্রিপুরার প্রবীণ বাম নেতা। তিনি ত্রিপুরার ভূমিপুত্র। আদিবাসী নেতা হিসেবেই তিনি যেথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন রাজ্য রাজনীতিতে। এলাকায় মাটির মানুষ হিসেবেই পরিচিতি তাঁর। ৬৪ বছরের জিতেন্দ্র তিওয়ারি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২২তম পার্টি কংগ্রেসের সেন্ট্রাল কমিটিতে জায়গা পান। বর্তমানে তিনি ত্রিপুরার উপজাতী সংগঠন গণমুক্তি পরিষদের গুরুদায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বামেদের কৃষক সংগঠনেরও দায়িত্বে রয়েছেন।

কংগ্রেস নেতার বিজেপিকে আক্রমণ

এদিন ত্রিপুরায় কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ত্রিপুরা থেকে পাঁচটির বেশি আসন পাবে না। একই সঙ্গে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের লাইভ স্ট্রিমিং পরিচালনা আহ্বানও তিনি জানিয়েছেন দলীয় কর্মী ও সংগঠকদের কাছে।

মানিক সরকার

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাম নেতা মানিক সরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের পরেই তিনি ত্রিপুরার মাটি আঁকড়ে লড়াই করে গেছেন। পাশে থেকেছেন বাম নেতা ও কর্মীদের পাশে। যেখানে সিপিআই(এম) কর্মীরা বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেখানেই ছুটে গিয়েছেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন না বলেও জানিয়েছ দিয়েছেন। দলের তরুণ নেতৃত্বের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভোট প্রচারে এখনও সামনের সারিতে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন আরএসএস নিয়ন্ত্রিত বিজেপি রাজ্যের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ফ্য়াসিবাদী সরকারের অবসান ঘটিয়ে জনতার সরকার তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

২৫ বছরের বাম জমানার থেকে বেশি ক্ষতি ৫ বছরের বিজেপির রাজত্বে, ত্রিপুরায় অন্যসুর অভিষেকের

আদানি মামলার শুনানি সোমবার, তার আগেই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রেম দিবসে জড়িয়ে ধরুন গরুকে, 'গরু আলিঙ্গন দিবস'-এর ডাক দিয়েও পিছু হাঁটল পশু কল্যাণ বোর্ড