খেলা ঘুরে গেল বীরভূমে! সমবায় নির্বাচনে '০' হওয়ার পরই কাজলের নিশানায় অনুব্রত

Published : Jul 13, 2025, 09:56 PM IST
tmc bjp

সংক্ষিপ্ত

TMC Vs BJP: ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ইটাহাট কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হয়। ফলাফল হল সমবায় সমিতির ৯টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। একটি আসনেই জয় পেল না তৃণমূল কংগ্রেস।

অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমেই ধরাসাহী বল তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর সমবায় নির্বাচন নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি। একটা আসনেও জয় হাসিল করতে পারল না ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ইটাহাট কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হয়। ফলাফল হল সমবায় সমিতির ৯টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। একটি আসনেই জয় পেল না তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেলে প়ড়েন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, এই সমবায় বহু বছর ধরেই নির্বাচন গয়নি। সঠিক, অবাধ নির্বচন হওয়ায় তারা জিতেছেন বলেও দাবি করেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য জুড়ে বিধানসভা ভোট যদি সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তাহলে বিজেপি জিতবে।

অন্যদিকে সমবায় নির্বাচনের ফল প্রকাশেরই পরই প্রকাশ্যে বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল। কারণ বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ নিশানা করেছেন অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও তিনি কারণ নাম নেননি। তিনি বলেছেন, স্থানীয় নেতৃত্বের যদি খামতি না থাকত তাহলে এমন হত না। তিনি বলেছেন, বীরভূমের দায়িত্ব কোর কমিটির হাতে। কোর কমিটি দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে। এই এলাকার দায়িত্ব রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের। কাজল শেখ হারের কারণ নিয়ে মন্ত্রীকেই প্রশ্ন করতে বলেছেন। যদিও তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনের কোনও প্রভাব বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না। যদিও অনুব্রত মণ্ডল এই নিয়ে এখনও কিছুই বলেননি। যদিও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত নন, জেলার দায়িত্বে রয়েছে কোর কমিটি। এই কোর কমিটির সদস্য কিন্তু কাজল, অনুব্রত, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।

১৯৫৭ সালে তৈরী হয়েছিল সিজা কামালপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড। সিজা কামালপুর অঞ্চলের কৃষকদের সুবিধার জন্য ৬৮ বছর আগে তৈরি হয়েছিল সিজা কামালপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতি লিঃ। আজ এই সমবায়ে সদস্যদের বোর্ড গঠনের নির্বাচন হয়। সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। মোট ৪৫ টি আসনের মধ্যে ৪৫ টিতেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিতরা। সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল ২৮ টি আসনে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ৩৯ টি আসনে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সকাল থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ভোট হয়।তরাপর হয় গণনা। ফল ঘোষণা হতেই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল সমর্থিত সদস্যরা ৩৩ টি আসনে জয় লাভ করে। বাম ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ছটি করে আসনে জয়লাভ করে। ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জয়ে মনোবল বাড়বে তৃনমূল কর্মিদের দাবী স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের।

শ্রীরামপুর হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ রায় ব্যানার্জি বলেন, সারা বঙ্গের মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য। টিভিতে বসে আর নির্বাচনের দিন বেরিয়ে কিছু করতে পারবেনা বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেস সারাবছর মানুষের সঙ্গে রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ তৃনমূল সিপিএম আঁতাত করে নির্বাচন লড়েছে।নাহলে বিজেপির ফল আরো ভালো হত। বামেদের দাবী,বলাগড়ের সিজা কামালপুরের মানুষ চেয়েছিলেন নির্বাচনটা হোক।কারা হেয়ারহোল্ডার সেটা জানুক।যেই জিতুক গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

হুমায়ুন কবীর ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে বাবরি মসজিদের সূচনা করবেন, ব্যবস্থা 'শাহি' ভোজের
শুভেন্দু অধিকারীর মাকে কটুক্তি, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ বিজেপির মহিলা মোর্চার