
SIR Clash News: SIR এর ফর্ম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলায় তৃণমূলের সক্রিয় সদস্যের নির্দেশে রেল লাইনের পাশে ধরে মহিলা কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জগন্নাথ নগর মেলাঘাটা এলাকায়।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুপ্রিয়া মন্ডলের দাবি, তিনি বিজেপির ১০৪ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি। তিনি মানুষকে বোঝাচ্ছিলেন এসআইআর নিয়ে। সেই সময় তৃণমূলের এক কর্মী যাচ্ছিলেন রাস্তা দিয়ে। সুপ্রিয়া যখন বাড়ি ফিরছিলেন দুপুরে বারোটা নাগাদ তখন তাকে গালিগালাজ করা হয়। গালি গালাজ করেন সুপ্রিয়ার এক প্রতিবেশী।
অভিযোগ, এরপর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা বেরার লোকজন বেশকিছু মহিলা তাকে রেল লাইনে ফেলে মারধর করে। সুপ্রিয়ার হাত মুচড়ে, চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাঁচ থেকে ছয় জন মহিলা মিলে মারধর করে। এরপর মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
যদিও গোটা ঘটনায় মহেশতলা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলের সোমা বেরা বলেন, '’এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। বিজেপি কর্মী সুপ্রিয়া মণ্ডল এবং যার সাথে বিবাদ হয়েছে এরা পরস্পর প্রতিবেশী। এদের মধ্যে প্রায়শই গালিগালাজ এবং হাতাহাতি লেগে থাকে। প্রতিবেশীদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিকে রাজনৈতিক রঙ লাগানো হচ্ছে, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এতে রাজনীতির কোন বিষয় নেই। এবং এসআইআর- এর কোন সম্পর্ক নেই।''
ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সূত্রে খবর, সুপ্রিয়া মণ্ডল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতি। বর্তমানে বিজেপির বুথ সভাপতি তিনি নন। এবং এই বিবাদ হাতাহাতি আদৌ রাজনৈতিক কারণে নাকি পাড়া-প্রতিবেশী ঝামেলা সেই বিষয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।
অন্যদিকে সুপ্রিয়া মন্ডলের সঙ্গে যার বিবাদ হয় সেই সীমা দাস বলেন, ‘’এস আই আর এর কোনও বিষয় নয়। আমরা কলে জল আনতে গেলে গালিগালাজ করতো সুপ্রিয়া মণ্ডল। আমার মেয়েকে মারধর করেছে সুপ্রিয়া মণ্ডল। মহেশতলা থানায় অভিযোগ করেছি।'' পুলিশ সূত্রে খবর, দুপক্ষই মহেশতলা থানায় অভিযোগ করেছে। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।