লোকসভায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের অব্স্থা বলতে গিয়ে ১৯৯০ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থার কথা টেনে আনেন। বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৯০ সালে যে অবস্থা ছিল বর্তমানে সেই অবস্থা রাজ্যের
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও খারাপ। হিন্দুদের অবস্থা কাশ্মীরী পণ্ডিতদের মত। সংসদে অভিযোগ করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। তিনি বলেন, প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পশ্চিমবঘ্গে প্রবেশ করছে। রাজ্য সরকার বিষয়টিতে পাত্তা দিচ্ছে না। কোনও গুরুত্বও দি্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
লোকসভায় তিনি পশ্চিমবঙ্গের অব্স্থা বলতে গিয়ে ১৯৯০ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের অবস্থার কথা টেনে আনেন। বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৯০ সালে যে অবস্থা ছিল বর্তমানে সেই অবস্থা রাজ্যের। তিনি বলেন, সেই সময় যে অবস্থা হয়েছিল কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সেই একই অবস্থা হতে চলেছে রাজ্যের হিন্দুদের। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সৌমিত্র খান বলেন, গত ১০ বছকে সমগ্র ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও কেন্দ্রীয় জনমুখী প্রকল্পের কারণে উন্নত হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা টাকা অনেক সময়ে সঠিক স্থানে পৌঁছাচ্ছে না। দুর্নীতির কারণে ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়ন। যার কারণে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন। তিনি বলেন, আজকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেরই সমস্যা নয়, ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্বের সমস্যা, ভারতবর্ষের নিরাপত্তার সমস্যা- রোহিঙ্গা সমস্যাকে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল দিনের পর দিন প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। তাঁর অভিযোগ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রোহিঙ্গাদের লালনপালন করতে খরচ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দেশের স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রকে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছেন।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করলেই হবে না। সেই টাকা যাথাযথ খাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হবে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে না। তিনি বলেন, 'রাজ্যের উন্নয়নের টাকা পিসি-ভাইপো কোম্পানি পকেটে ভরতে। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।