কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হওয়ার আগেই ঘটল অঘটন, তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রাম

এলাকার শাসক-বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, নাড়ুয়াভিলা গ্রামের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিহত তিন জনের দেহ এখনও খুঁজেই পাওয়া যায়নি।

Web Desk - ANB | Published : Dec 3, 2022 1:45 AM IST / Updated: Dec 03 2022, 10:59 AM IST

আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর থেকে কিছুটা দূরেই প্রভাতকুমার কলেজের মাঠ। সেই সভা ঘিরে প্রস্তুতি চলছিল তুঙ্গে। জেলা জুড়ে মাইকে প্রচার, মিছিল, দেওয়াল লিখনের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরে হঠাৎ ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ!

শুক্রবার রাতে বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার অন্তর্গত অর্জুননগর অঞ্চলের নাড়ুয়াভিলা গ্রাম। প্রচণ্ড বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও মৃত বা আহতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

শনিবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরেই সভা করবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভাস্থল থেকে ভূপতিনগরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এলাকার শাসক-বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, নাড়ুয়াভিলা গ্রামের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে ঘটে গেছে এই বড়সড় দুর্ঘটনা।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কাঁথিতে অভিষেকের সভার গুরুত্ব রাজনৈতিক মহলে কতখানি, তা স্পষ্ট কথাতেই বুঝিয়ে দিয়েছে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে অভিষেকের সভায় ১ লক্ষ মানুষের জমায়েতের ঘোষণা করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। এই বক্তব্যে বিশেষ করেই জোর দিয়েছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক তরুণ মাইতি। কিন্তু সভা হওয়ার আগেই ঘটল অঘটন। আগের রাতেই বিস্ফোরণের জেরে তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২ জন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনকভাবে জখম হয়েছেন আরও ১ ব্যক্তি।

তবে, এই বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়েই চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার স্ত্রী। তাঁর দাবি, এই বিস্ফোরণে তাঁর স্বামী রাজকুমার মান্না ও তাঁর দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, শুক্রবার রাতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল অর্জুননগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আরও চার ব্যক্তি। রাজকুমার, বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের নেতার স্ত্রীর। বাকি ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নিহত তিন জনের দেহ এখনও খুঁজেই পাওয়া যায়নি। রাজকুমারের স্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি এসে তাঁদের বাড়ি থেকে মৃতদের দেহ বার করে নিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু, তাঁরা দেহগুলি কোথায় নিয়ে গেছেন, তা তিনি বলতে পারেননি। 


 


আরও পড়ুন-
লকডাউনে অভাবের তাড়নায় কন্যাসন্তানকে বিক্রি, তারপর শিশু বিক্রির নেশায় মেতে উঠলেন হাওড়ার দম্পতি
এনআইএ-র জালে লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের মূল চক্রী হরপ্রীত সিং, ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার
ব্যস্ততা সত্ত্বেও মানুষের জীবনের সঙ্গে আপোষ নয়, কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দিতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Share this article
click me!