
চাকরিহারাদের আন্দোলনে শেষপর্যন্ত ফাটল ধরল! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গেছে রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে ১৩ দিন ধরেই বিকাশভবনের সামনে ধর্না বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থায় চাকরিহারাদের একাংশ রাজ্য সরকারকে সমর্থন জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। তারা রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তেমনই দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু দাবি নয়, পাশে থাকা চাকরিহারাদের একটি সংগঠনের চিঠিও দেখিয়েছেন ব্রাত্য।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চাকরিহারা শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল আনটেন্টেড টিচার্স অ্য়াসোসিয়েশন-এর একটা চিঠি দেখান। সেটি লিখেছেন মৃণ্ময় মণ্ডল। ব্রাত্য বসু ছাড়াও চিঠি লেখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে পাঠান হয়েছে। ব্রাত্য বসুর দাবি চাকরিহারা প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চিঠির লেখক মৃণ্ময় মণ্ডল, বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তির সময়ে সেখানে হাজির ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে যে আইনি লড়াই চলছে সেটা যাতে আমরা জিততে পারি। এর জন্য যে মঞ্চটা ছিল তার সঙ্গে কিছু মতানৈত্য রয়েছে। আমাদের আলাদা একটা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। সরকার কী কী ভূমিকা পালন করছে তা বদলতেই হবে। সরকারের প্রতি আমরা তো আস্থা রাখব।'
অন্যদিকে সোমবারও বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা বিক্ষোভ অবস্থান চলছেষ যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের অধিকার মঞ্চের নেতা চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন, 'আন্দোলন নিয়ে ওই সংগঠনের সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য নেই। কউন্সেলিং নিয়ে একটা মতানৈক্য ছিল। আমরাও চাই সরকার আমাদের বাঁচাক। কারণ সরকার আমাদের চাকরিটা দিয়েছে। আর সরকারের দুর্নীতির কারণেই আমরা আজ রাস্তায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরাও সরকারকে সমর্থন করব, যদি তাদের পদক্ষেপে আমাদের চাকরিটা ফিরে আসে।'
ব্রাত্য বসু বলেছেন, শিক্ষা দফতর অনেক বার জানতে চেয়েছে ওই আন্দোলনকারীদের কোনও বক্তব্য আছে কিনা। তারা কিছু লিখিত দিতে চাননি। তিনি আরও বলেছেন, মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে তিনি যা জেনেছেন , তা হল এই আন্দোলনকারীরা পরীক্ষা দিতে চান না। সসম্মানে স্কুলে ফিরতে চান। ব্রাত্য বসু আরও বলেন, 'আমরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে তাঁদের সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এখন একটাই বার্তা দেওয়ার আছে যে, ওঁরা আবার স্কুলে যান এবং রিভিউ পিটিশনে আমাদের সাহায্য করুন।'