Calcutta HC On Gleaners: দার্জিলিঙের ঐতিহ্যবাহী গ্লেনারিজের বিরুদ্ধে আবগারি আইন অমান্য করার অভিযোগ। বিধিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে এবার কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
বড়দিনে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সুখবর। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বড়দিনের আগেই খুলে গিয়েছে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী গ্লেনারিজ। বুধবার থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত পানশালা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
25
কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ রাজ্যের আবেদন
সূত্রের খবর, বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সঙ্গে সঙ্গেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে বড়দিনে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য খোলা থাকছে গ্লেনারিজ। আগামী ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবারও এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
35
আবগারি আইন অমান্য করার অভিযোগ
জানা গিয়েছে, আবগারি আইন অমান্য করার অভিযোগে গত ৪ ডিসেম্বর দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী গ্লেনারিজের পানশালার লাইসেন্স সাসপেন্ড করে আবগারি দফতর। গত ৮ ডিসেম্বর সেই পানশালা সিল করে দেওয়া হয়। তিন মাসের জন্য গ্লেনারিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশের অভিযোগ, আবগারি আইন অমান্য করার পাশাপাশি গ্লেনারিজে নিয়ম করে যে গানের আসর বসে তার জন্যও কোনও অনুমতি নেওয়া ছিল না।
জানা গিয়েছে, হয় এরপরই গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলাতেই এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত পানশালা চালু রাখার নির্দেশ দেন। বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘’গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বিধি-ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলি সহজেই সমাধান করে নেওয়া সম্ভব। তাছাড়া, গ্লেনারিজ দার্জিলিংয়ের একটা জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী জায়গা।''
55
গ্লেনারিজ খোলা রাখার নির্দেশ
শীতকালে বড়দিনের ছুটিতে প্রচুর পর্যটক দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যান। তাই ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্লেনারিজ খোলা রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। আগামী ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবারও এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।