Flight Fare News: এবার যাত্রীদের বিমানে সফরের জন্য থাকবে একাধিক অপশন। হাতে গোনা ওই ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া বা স্পাইসজেটের বিমানের মধ্যে থেকেই বেছে নিতে হবে না। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Flight Fare News: নতুন বছরের শুরুতে আকাশপথে ভ্রমণ নিয়ে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। এতদিন বিমানে ওঠা মানেই মধ্যবিত্তের জন্য বড় খরচ—এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে ৮–১০ হাজার টাকা ভাড়া যেন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু খুব শীঘ্রই সেই ছবিটা বদলাতে পারে। দেশের বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে আসতে চলেছে তিনটি নতুন এয়ারলাইন্স। এর ফলে যাত্রীদের সামনে যেমন বাড়বে বিকল্প, তেমনই ভাড়ার বাজারেও নামতে পারে চাপ।
আকাশপথে কমছে বিমান ভাড়া:-
সম্প্রতি ইন্ডিগোর একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হওয়ার ঘটনায় দেশের বিমান চলাচল ব্যবস্থা যে কতটা ভঙ্গুর, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। দেশের আকাশপথ কার্যত কয়েকটি সংস্থার হাতেই সীমাবদ্ধ। বড় কোনও সংস্থায় সমস্যা তৈরি হলেই তার প্রভাব পড়ছে গোটা ব্যবস্থার উপর। এই অভিজ্ঞতার পরেই সরকারের তরফে বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন সংস্থাকে উৎসাহ দেওয়ার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি নতুন এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। এই সংস্থাগুলি হল শঙ্খ এয়ার, আল হিন্দ এয়ার এবং ফ্লাই এক্সপ্রেস। এভিয়েশন নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সংস্থা যাত্রী পরিবহণ শুরু করার আগে প্রথম ধাপে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি পেতে হয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তারা ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে।
তবে শুধু এনওসি পেলেই আকাশে উড়ে যাওয়া যায় না। এখনও বাকি রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামো, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড অপারেশন—সবকিছু খতিয়ে দেখবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি। সবুজ সংকেত মিললেই তবেই বাণিজ্যিক উড়ান শুরু করতে পারবে এই এয়ারলাইন্সগুলি।
শিল্প সূত্রের খবর, শঙ্খ এয়ারলাইন্স সবচেয়ে আগে পরিষেবা শুরু করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে ২০২৬ সাল থেকেই তাদের বিমান যাত্রী বহন করতে পারে। অন্যদিকে, আল হিন্দ এয়ার একটি পরিচিত ট্রাভেল গ্রুপের উদ্যোগ। কেরলভিত্তিক আল হিন্দ গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশগামী যাত্রী, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য রুটে টিকিট ও ভ্রমণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়ে তারা এবার সরাসরি বিমান সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। ফ্লাই এক্সপ্রেসও মূলত কম খরচের উড়ান পরিষেবার দিকে জোর দিতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এয়ারলাইন্স মানে শুধু নতুন নাম নয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে নতুন রুট, বাড়তি ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি এবং ভাড়ায় প্রতিযোগিতা। বর্তমানে উৎসবের মরসুম বা ছুটির সময়ে টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যদি বাজারে আরও সংস্থা নামে, তাহলে যাত্রীদের কাছে বিকল্প বাড়বে এবং ভাড়া ৫–৬ হাজার টাকার মধ্যেই আটকে রাখা সম্ভব হতে পারে।
সব মিলিয়ে, নতুন বছর দেশের বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। আকাশপথে যাত্রা আরও সস্তা, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। তবে সাধারণ যাত্রীদের প্রত্যাশা যে অনেকটাই বেড়েছে, তা বলাই যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


