কেন্দ্রীয় সরকার ১১৮টি নতুন জলপথ তৈরি করছে। যা পরবহণ খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই জলপথকে কেন্দ্র করে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি হবে, যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিত্যযাত্রী - ছাত্রদের সাহায্য করবে।
জলপথে পরিবহণের ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার জনিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রবিবার তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরপ্রদেসের বারাণসী থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলিদিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র গঙ্গানদীর তীরে ৬০টি জেটি তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের হুগলির ত্রিবেনী ও নদিয়ার কল্যানীতে এজাতীয় চারটি জেটিঘাট তৈরি হয়েছে। সেই চারটি জেটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ১১৮টি জলপছ তৈরি করছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া পরিবারের সদস্য এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১১৮টি নতুন জলপথ তৈরি করছে। যা পরবহণ খরচ অনেক কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি পর্যটকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এই জলপথকে কেন্দ্র করে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি হবে, যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নিত্যযাত্রী - ছাত্রদের সাহায্য করবে। দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন,প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনোযোগ দিচ্ছেন, যা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত ছিল। তারপরই তিনি বলেন রাজ্যের উন্নয়নে তিনি পশ্চিমবঘ্গের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা চাইছেন। এদিন শান্তনু ঠাকুর বলেন, যে চারটি জেটি তিনি উদ্বোধন করেন তা তৈরি করতে ৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ইছামতী নদীর ওপর জাতীয় জলপথ ৪৪ তৈরি করা হচ্ছে। বেরিগোপালপুর থেকে তারানীপুর পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার নদীর ধারে কাজ করা হবে।
রবিবারই দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইছামতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম ধারে নদী সংস্কার হিসেবে জমে থাকা কচুরিপানা তোলার কাজ শুরু হবে। বেডিগোপালপুর থেকে তরনীপুর পর্যন্ত এই কাজ হবে। তারপরই তেঁতুলিয়া থেকে কালাঞ্চি পর্যন্ত কাজ হবে। এদিন নদী সংস্কারের কাজেরও উদ্বোধন করেন শান্তনু ঠাকুর।
এদিন নদী সংস্কারের কাজ শুরু হতেই শান্তনু ঠাকুর বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা করেন। তিনি বলেন বিগত দিনে এই এলাকা থেকে স্থানীয় কোনও মানুষ জনপ্রিতিনিধি ছিলেন না। কিন্তু তিনি ভূমিপুত্র , তাই এলাকার সংস্যার কথা ভাল করেই জানেন। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথাও তিনি সংসদে তুলে ধরতে পারেন। এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্যই তিনি এলাকার সমস্যার কথা কেন্দ্রে তুলে ধরতে পেরেছেন। সংস্কারের অভাবে ইছামতীর নাব্যতা হারিয়ে গেছে। নদীটি প্রায় মৃতপ্রায়। গতিপথও হারিয়েছে। নদীর গতিপথ হারানোর প্রভাব পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থার ওপর। বর্ষাকালে এলাকায় মানুষকে জমা জলের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।