তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, যারা এত কিছুর পেরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকা থেকে কিছু নাম কেটে দেওয়া দরকার। ও
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এবারও সকর্ত করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কোচবিহারে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকেই দিনহাটা ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে রাজ্যের মহিলাদের রীতিমত সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, 'লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও যারা তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু নাম কেটে দেওয়া দরকার। ' তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এই কথা শোনার পরই স্থানীয় বিশেষ করে মহিলারা আতঙ্কিত। তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যদিও তৃণমূলের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, দীপক ভট্টাচার্যের কথা বিকৃত করা হচ্ছে বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, যারা এত কিছুর পেরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তালিকা থেকে কিছু নাম কেটে দেওয়া দরকার। ওই নেতা আরও বলেন, টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। টাকা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার দিচ্ছে। ওইটাকা নরেন্দ্র মোদীর বাবার টাকা নয়, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের টাকা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে তৃণমূলকে ভোট না দিলে নাম কেটে দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পা্ল্টা সরব হয়েছে বিজেপি। কোচবিহারের বিজেপি সম্পাদক বিরাজ বোস বলেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক বা যে কোনও প্রকল্পই হোক - সবই সরকারি প্রকল্প। সরকারের দায়িত্ব দলমত নির্বিশেষে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রকল্পগুলিকে ভোট বাক্স শক্তিশালী করতে কাজে লাগাতে চাইছে। যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলেও দাবি করেন তিনি।