বাম প্রার্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়ে তারা জিতলে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার মহিলাদের জন্য বিশেষ কাজ করবেন। যার মধ্যে রয়েছে মহিলা নিরাপত্তা থেকে শুরু করেছে মহিলা ক্ষমতায়ণে মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বাংলা বছরের প্রথম দিনেই রাজ্যের মহিলা ভোটারদের টার্গেট করল সিপিআই(এম)। শুধু তাই নয়, দলের মহিলা নেত্রীদের সামনে রেখেই ১৫ দফা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল বামেরা। মহিলা প্রার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম- নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন, বোলপুরের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান, শ্রীরামপুরের প্রার্থী দীস্পিতা ধর, দক্ষণ কলকাতার প্রার্থী সায়রা হালিম, আসানসোলের প্রার্থী জাহানারা খান ও ঝাড়গ্রামের প্রার্থী সোনামণি টুডু। মূলত মহিলা ভোটের উন্নয়নের স্বার্থ বামেরা জিতলে নিজেদের নির্বাচনী ক্ষেত্রের জন্য কী কী করতে চায় তাই জানালেন মিনাক্ষীরা।
এদিন বাম প্রার্থীরা স্পষ্ট করে জানিয়ে তারা জিতলে নিজেদের নির্বাচনী এলাকার মহিলাদের জন্য বিশেষ কাজ করবেন। যার মধ্যে রয়েছে মহিলা নিরাপত্তা থেকে শুরু করেছে মহিলা ক্ষমতায়ণে মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এদিন দীস্পিতা ধর বলেন, ২০১১ সালের পর থেকেই রাজ্যে মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নির্যাতনের ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেমের সম্পর্কের রূপ দিয়ে দুষ্কৃতিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী।
বামেদের ঘোষণা ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে তারা জিতলে সংসদ তহবিলের এক তৃতীয়াংশ মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করে রাখবেন। মহিলা আত্মরক্ষা কেন্দ্র ও মহিলাদের আত্মমর্যাদা কেন্দ্র তৈরি করবেন। বাম নেত্রীরা জানিয়েছেন, গার্হস্থ্য হিংসা থেকে যৌন হেনস্থা মত বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। এই সমিতি মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ গেবে। মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। মিনাক্ষীর কথায় সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য যা যা করণীয় তাই করবে যদি বাম মহিলা প্রার্থীরা যদি জয়ী হন। বাম নেত্রীদের কথায় মণিপুর, হাথরস, উন্নাও সন্দেশখালির মত ঘটনার কারণেই মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Crime News: বছরের প্রথম দিনেই রহস্যমৃত্যু! বরাহনগরে একই বাড়ি থেকে উদ্ধার তিন জনের পচা দেহ
মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্রের মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করবে। পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য কাজ করবে। এদিন বাম নেত্রীরা রাজ্যের কর্মসংস্খান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁদের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর রাজ্যে এসএসসি প্রায় বন্ধ। বেকারির সংখ্যা বাড়ছে। তাই পিছিয়ে পড়াদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দীস্পিতা ধর বলেন, একটা সময় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপরও জিএসটি বসিয়েছিল বিজেপি সরকার। তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছিল বামেরা। তাতে জিএসটি কমায়। কিন্তু বামেরা জিতলে স্যানিটারি ন্যাপকিন আরও সহজলভ্য করা হবে। শ্রমজীবী মহিলাদের সন্তানের দায়িত্বও নেওয়ার কথা বলেছেন। ক্রেস তৈরি করার কথাও বলেছেন। পাশাপাশি সমবায় তৈরির কথাও বলা হয়েছে।
Sandeshkhali: তৃণমূলের পার্টি অফিসে মহিলাদের যৌন নির্যাতন, অভিযোগে মান্যতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
লক্ষ্মীর ভান্ডারের কারণে বর্তমানে রাজ্যের মহিলা ভোটের পাল্লা ভারি হচ্ছে তৃণমূলের দিকে। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনের হিসেবে অনুযায়ী প্রায় ২ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুযোগ পান। টাকার অঙ্কও বাড়ান হয়েছে। এই অবস্থায় ভোটের রাজনীতিতে মহিলা ভোটারদের টার্গেট করেছে বামেরা।
BJP Vs TMC: রচনার জন্য খারাপ লাগে, কেন এমন মন্তব্য বিজেপির লকেটের