সংক্ষিপ্ত

মহিলাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ডেকে যৌন নির্যাতন করা হত। পাশাপাশি পুলিশকে ডেকে সমঝতা করা হয়েছিল অধিকাংশ অভিযোগেরই।

 

লোকসভা ভোটের মুখে সন্দেশখালি ইস্যু রীতিমত চাপ বাড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকরারের ওপর। পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিও। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সন্দেশখালি-কাণ্ডে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট। সেখানে তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে মহিলাদের ওপর গণধর্ষণ করার যে অভিযোগ উঠেছিল তাতেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে , মহিলাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ডেকে যৌন নির্যাতন করা হত। পাশাপাশি পুলিশকে ডেকে সমঝতা করা হয়েছিল অধিকাংশ অভিযোগেরই। সন্দেশখালি ইস্যুতে মানবধিকার কমিশন ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সুপারিশ করেছে। যারমধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সন্দেশখালি ইস্যুতে আগামী দুই মাসের মধ্যে রাজ্য পুলিশ ও মুখ্যসচিবকে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি রাজ্য প্রশাসন।

 

BJP Vs TMC: রচনার জন্য খারাপ লাগে, কেন এমন মন্তব্য বিজেপির লকেটের

 

তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ঘোষ বলেছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির ক্যাডারের মত কাজ করছে। তবে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি যে একটি বড় ঘটনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

CPIM:মহিলাদের আত্মরক্ষায় জোর, মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাল্টা মিনাক্ষীদের ১৫টি কর্মসূচি

অন্যদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী শাহজাহানের সঙ্গে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল তার দুই সাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। কমিশন আরও দাবি করেছে অভিযুক্তদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় অনেকেই ভয় অভিযোগ করতে পারেনি। সন্দেশখালি উস্যুতে রাজ্য সরকারকে প্রায় এক ডজন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

BJP's manifesto: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি থেকে সিএএ কার্যকর- বিজেপির ইস্তেহারে সেরা ২০টি প্রতিশ্রুতি

 

ভোটেরমুখে সন্দেশখালি ইস্যুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গতি বাড়িয়েছে। গ্রেফকতার করা হয়েছে তৎকালীন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তার সাগরেদদের। গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলছে। কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে একাধিকবার নিশানা করেছে। পাল্টা সন্দেশখালি ইস্যুতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।