সংক্ষিপ্ত
রচনা তাঁর বন্ধু। তাঁকে নিয়ে মিম দেখতে তাঁর খারাপ লাগে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, কোনও মহিলাকে নিয়েই মিম হতে দেখতে তাঁর ভালো লাগে না। রাজনীতির ময়দানে যথেষ্ট পোড় খাওয়া লকেট এমনটাই বলেছেন রচনা সম্পর্কে।
প্রতিপক্ষ তাঁরই একটা সময়ের সহকর্মী। বর্তমানে তিনি হুগলির বিদায়ী সাংসদ। আবার বিজেপির প্রার্থীও বটে। বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট পরিচিত লকেট চট্টোপাধ্যায়। তুলনায় অনেকটাই নবীন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকেই প্রার্থী করেছেন হুগলির মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে। টলিউডের দুই তারকার লড়াইয়ে বর্তমান জমজমাট হুগলির ভোটের মাটি। এই অবস্থায় বিজেপির লকেট রচনা সম্পর্কে বেশ কিছুটা সহানুভূতিশীল। কিন্তু কেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি লকেট বলেছেন, রচনা তাঁর বন্ধু। তাঁকে নিয়ে মিম দেখতে তাঁর খারাপ লাগে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, কোনও মহিলাকে নিয়েই মিম হতে দেখতে তাঁর ভালো লাগে না। রাজনীতির ময়দানে যথেষ্ট পোড় খাওয়া লকেট এমনটাই বলেছেন রচনা সম্পর্কে।
ভোট প্রচারে নেমে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি মনন্ত্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করেছে সংবাদ মাধ্যমে যথেষ্টই বিতর্ক তৈরি করেচে। কিছু মন্তব্য জনগণের কাছে হাসির খোরাকও হয়েছে। যার মধ্যে ধোঁয়া আর দই নিয়ে রচনার মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই মন্তব্য নিয়ে আগেই বেশ কিছুটা কটাক্ষ করেছে লকেট। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় লকেট কিছুয়া সংয়ত। পুরনো বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। যদিও রচনা এজাতীয় মিম নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। তিনি এগুলিকে গুরুত্ব দিতেও রাজি নন। পাশাপাশি তিনি যে নিজের মত করেই ভোট প্রচার চালিয়ে যাবেন তাও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আর রচনার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে লকেট বলেছেন, কিনও মহিলাকে নিয়ে মিম হলে তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে ভাব না। রচনা তাঁর বন্ধু। তাই এই বিষয়টা তাঁর খারাপ লেগেছে। তবে এই সব বিষয় হালকাভাবেই নেওয়া ভাল।
বিরোধী দলের কোনও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর প্রিয় - এই প্রশ্নেরও উত্তর দেন লকেট। তিনি বলে, প্রিয় বলবেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে ৩৪ বছর বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন , তিনি যে লড়াইটা করেছিলেন- সেটা মনে রাখার মত। তিনি আরও বলেন, তাঁকে দেখে অনেকেই রাজনীতিতে এসেছেন বলেও দাবি করেন লকেট।