স্নানের শুভ ক্ষণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা বেজে ১৩মিনিট থেকে। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে রবিবার মধ্যরাত থেকেই সাগরে শুরু হয়ে গেছে পুণ্যস্নান।
যেমন কনকনে ঠান্ডা, তার সঙ্গে সকাল থেকে ব্যাপক ঘন কুয়াশা, কিন্তু, সবকিছুকে টেক্কা দিয়ে দিল মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গাসাগরের ভিড়। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই রবিবার মধ্যরাত থেকে সাগরে শুরু হয়ে গেছে পুণ্যস্নান। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের সময় শুরু হয়েছে রবিবার রাত ১২.১৩ মিনিট থেকে। যদিও ওইসময়ে সাগরে জোয়ার থাকার কারণে কোনও ভক্তকে সমুদ্রে নামতে দেয়নি প্রশাসন।
সোমবার ভোর তিনটে থেকে শুরু হয়েছে স্নান। এদিন রাত বারোটা পর্যন্ত চলবে পূণ্য লগ্ন। যদিও স্নানের শুভ ক্ষণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টা বেজে ১৩মিনিট থেকে।
স্নানের সময় শুরু হতেই সোমবার ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে থিকথিকে ভিড় জমে গেছে। মোক্ষ লাভের আশায় সাগরের জলে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেবেন ভক্তরা। এজন্য ভিড় জমিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় পঁচাত্তর লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। সেই সংখ্যাটা ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান।
আরেকদিকে, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য সেজে উঠেছে কপিল মুনির আশ্রম । মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নানের পর সবাই কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিচ্ছেন । ভক্তদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক প্রশাসনিক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর পুলিশ ক্যাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। আকাশ এবং জলপথে নজরদারি চালাচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স এবং ভারতীয় নৌ বাহিনীও।
ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা। মেলাতে ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স কর্মী, ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী আছেন। ৭টি ফ্রি ওয়াইফাই জোনও রাখা হয়েছে। এছাড়া, বিদ্যুতের টাওয়ারে ও জেটিতে কুয়াশাভেদি আলো, যানবাহনগুলিতে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।