
Suvendu Adhikari News: পূর্ব বর্ধমানে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগেই কোন্দলে জেরবার বিজেপি। নব নির্বাচিত জেলা সভাপতি স্মৃতি কণা বসুর দিকে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জনসভাতেই যাবেন না বলে জানালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ভোট যতই এগিয়ে আসছে বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ততই প্রকাশ্যে আসছে। অন্দরে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলায় যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে তা নিয়ে অস্বস্তিতে উচ্চ নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাগলা এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা আগেই এই কোন্দল প্রকাশ্যে।
নবনির্বাচিত জেলা সভাপতি স্মৃতিকণা বসুর বিরুদ্ধেই মূলত ক্ষোভ। একের পর এক আদি বিজেপি নেতা জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিচ্ছেন বলে খবর। কয়েক মাস আগেই দলের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদ থেকে গোপল চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্মৃতিকণা বসুকে। তখন থেকেই শুরু হয়েছে ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৮ জন বিজেপি নেতা জেলা কমিটি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিয়েছেন। তার মধ্যে ৫ জন রয়েছে জামালপুর বিধানসভার। বাকি ৩ নেতা মেমারি, পূর্বস্থলী ও কাটোয়া বিধানসভা এলাকার।
এদিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা জগবন্ধু ঘোষ। বর্তমানে জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি জানিয়েছেন জামালপুর সহ কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার অসংখ্য বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী শুভেন্দু অধিকারী সভায় যাবে না।
তার অভিযোগ, সংগঠন শক্তিশালী করতে চাওয়া নেতাদের ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বানিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজেপির জেলা সভাপতি স্মৃতিকণা বসু এই খেলা খেলছেন। স্মৃতিকণা বসুর বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
স্মৃতিকণা বসু জেলা সভাপতি হওয়ার দশ দিন পর তাঁকে কোনও কিছু না জানিয়ে জেলা বিজেপি সভানেত্রী শাসক দল তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের পাশে নিয়েই ঘুরছেন। তবে বিধানসভা ভোটের আগেই জেলা বিজেপির অন্দরে এমন ক্ষোভ বিক্ষোভ তৈরি হওয়ায় খুশি তৃণমূল শিবির।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।