শেষপর্যন্ত কৃষ্ণনগর খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল দেশরাজ। ঘটনার প্রায় ৭ দিন পরে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
শেষপর্যন্ত কৃষ্ণনগর খুন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল দেশরাজ। তাকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিল কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। পুলিশের তিনটি দল টানা ৭ দিন ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছিল দেশরাজকে। শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করতে পেরেছে তাকে।
DID YOU KNOW ?
কৃষ্ণনগর হত্য়াকাণ্ড কী?
প্রেমের সম্পর্কে ভাঙান। বাড়িতে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে গুলি করে হত্য়া করে প্রেমিক। অভিযুক্ত দেশরাজ সিং তারপর থেকেই এলাকা ছাড়া। শেষপর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
25
কোথা থেকে গ্রেফতার
কৃষ্ণনগরকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে উত্তর প্রদেশের নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রান্সজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে কৃষ্ণনগরের কোতওয়াসলি থানায়। খুন পেশ করা হবে আদালতে। পুলিশ সূত্রের খবর উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা দেশরাজের পরিবার। ঘটনার পরই সে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে গাঢাকা দিয়েছিল। সেই কারণেই পুলিশের তিনটি দল উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালিয়েছিল। পুলিশেরও অনুমান ছিল উত্তরপ্রদেশ দিয়ে ভারতের সীমান্ত পার করে দেশরাজ নেপালে চলে যেতে পারে। সেই কারণেই সেই এলাকাগুলিতেই তল্লাশি চালিয়েছিল।
35
মামা দিল সন্ধান
দেশরাজের গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশ এখনও মুখ খোলেনি। তবে সূত্রের খবর দিন কয়ের আগে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংহকে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দেশরাজ খুনের পর প্রথম ফোন করেছিল তারা মামাকে। সেই সূত্রধরেই পুলিশ মামাকে গ্রেফতার করা। মামাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দেশরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর কৃষ্ণনগরের কলেজ ছাত্রী ঈশিতা খুনে দেশরাজ একাই জড়িত না আরও কেউ ছিল- তা খতিয়ে দেখা হবে। সূত্রের খবর দেশরাজের দুই আত্মীয় মঙ্গল সিং ও দঙ্গল সিং খুন-সহ প্রায় ৪০টি অভিযোগে জেলে ছিল। সম্প্রতি তারা ছাড়া পেয়েছে। দেশরাজের এক খুড়তুতো ভাই নিতিন সিং-এর সঙ্গেও ঘনিষ্টতা ছিল অভিযুক্তের। তারা এরাও খুনের ঘটনায় জড়িত কিনা বা পরিকল্পনা করেছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
55
আত্মহত্যার চেষ্টার ভিডিও
পুলিশ সূত্রের খবর ঈশিতাকে খুনের কয়েক দিন আগেই দেশরাজ আত্মহত্যার চেষ্টা করছে এমন একটি ভিডিও শ্য়ুট করে 'প্রেমিকা'ঈশিতাকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই ভিডিও দেখেও সম্পর্ক রাখতে চায়নি ঈশিতা। মোটকতা দেশরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদই চেয়েছিল ছাত্রী। সেই কারণেই প্রতিহিংসার বশেই খুন করা হয়েছিল। তেমনই মনে করছে পুলিশ। তবে সব বিষয়েই দেশরাজকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই স্পষ্ট হবে।