Jagannath Temple Controversy: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ২৫০ কোটি টাক ব্যায় নির্মিত দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির বিতর্কে এবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে হিংসার বতাবরণ তৈরি হয়েছে। ওড়িশা সরকারকেও নিশানা করেন মমতা।
512
মমতার কটাক্ষ
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'আমি দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করলে তা নিয়ে প্রশ্ন হয় না, কালীঘাট নিয়ে প্রশ্ন হয় না। আমি দুর্গাপুজো করি, কালীপুজো করি, প্রশ্ন হয় না। জগন্নাথধামটা গায়ে লেগেছে।'
612
নিমকাঠ ইস্যুতে মমতা
ওরা বলছে, আমি নাকি নিমগাছ চুরি করেছি। আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত খারাপ সময় আসেনি যে নিমগাছ চুরি করতে হবে। জগন্নাথের মূর্তি কিনতে পাওয়া যায়। অনেকের বাড়িতেও আছে। ওটা দয়িতাপতি নিয়ে এসেছেন অন্য জায়গা থেকে। শুনেছি, তাঁকে ওড়িশায় ডাকা হয়েছে, প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমরা তো সকলে পুরীতে যাই। আমরা তো এত প্রশ্ন করি না। এত গায়ে লাগছে কেন? এত হিংসে কেন? হিংসের কোনও ওষুধ হয় না।
712
ওড়িশা সরকারকে তোপ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি ওড়িশা সরকারকে নিশানা করেন। বলেন, ওড়িশায় আলুর টান পড়লে বাংলা তার জোগান দেয়। ঝড়ে ওড়িশা বিধ্বস্ত হল বাংলা থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠান হয় বলেও দাবি করেন তিনি।
812
পুরী নিয়ে বার্তা
দিঘার জগন্নাথ মন্দির বিতর্ক নিয়ে তিনি পুরীকেও টেনে আনেন। বলেন, 'বাংলা থেকেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক পুরীতে যান। দিঘায় আমরা একটা জগন্নাথধাম করলে আপনাদের অসুবিধা কী?'
912
নিমকাঠ নিয়ে অভিযোগ
দিঘার মন্দির নিয়ে অভিযোগ, ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরের নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্টাংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘার জগন্নাথের বিগ্রহ। ঘটনার সত্যতা জানতে ইতিমধ্যেই ওড়িশ সরকার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে।
1012
জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিতর্ক
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ধাম বলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। আপত্তি জানিয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দৈতাপতি। অন্যদিকে বালুশিল্পী সুদর্শনও আপত্তি জনিয়েছিলেন।
1112
ধাম উধাও
মন্দিরের ঠিক পাশে ডান দিতে জাতীয় সড়কের উপর ইংরেজি হরফে ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা ছিল। এদিন অবশ্য 'ধাম' শব্দটাই উধাও হয়ে গেছে।
1212
সরকার নীরব
যদিও এই বিষয়ে নিয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। কিন্তু অখিল গিরি বলেছেন, মন্দিরের অস্থায়ী কাঠামোর সময় তা ছিল। পরে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সাধু সন্তদের একাংশ দিঘার মন্দিরকে ধাম বলতে নাারাজ।