
তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সোমবার তিনি জোর দিয়ে বলেন, মানুষ নিজের জমিতে উপাসনালয় তৈরি করার বিষয়ে স্বাধীন হলেও, মুঘল শাসক বাবরের নামে ভারতে কোনও কাঠামো তৈরি হবে না। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবির বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন তিনি বাবরের নামে একটি মসদিন তৈরি করবেন। আর সেটা তৈরি করবেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে। তারই জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে কেউ নিজের জমিতে মন্দির বা মসজিদ তৈরি করতে পারে, কিন্তু বাবরের নামে ভারতে কোনও মসজিদ হবে না। হিন্দু সমাজ ৪৫০ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, তার কাঠামো ভেঙে দিয়েছে এবং পরে রাম মন্দির তৈরি করেছে। বাবর একজন আক্রমণকারী ছিলেন; তার নামে এখানে কিছুই তৈরি হবে না।”
মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় ৬ ডিসেম্বর একটি “বাবরি মসজিদ”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। হুয়ামুন কবির নিজের অবস্থানে অটল থেকে বলেন, “আমরা ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব।” এর আগেও তিনি এই প্রকল্পটির কথা বলেছিলেন। আরও জানিয়েছিলেন এটি শেষ হতে তিন বছর সময় লাগবে এবং বিভিন্ন মুসলিম নেতারা এতে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করব। এটি সম্পূর্ণ হতে তিন বছর সময় লাগবে। বিভিন্ন মুসলিম নেতারা সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।”
সম্প্রতি দল ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেছেন, '৬ ডিলেম্বর ইচ্ছে রয়েছে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করব। তারপর ২০ ডিসেম্বর নতুন দল তৈরি করব।' তিনি আরও বলেন, 'আমি সিট শেয়ারিং করব। একা লড়ব না। বামেদের সঙ্গে যাব। আইএসএফ-এর সঙ্গে যাব। কংগ্রেসকেও বাদ দেব না।' একইসঙ্গে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ১১ অগস্ট দলের অভ্যন্তরে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ সেই আলোচনা মানুষের সামনে দলেরই একাংশ বিকৃতভাবে তুলে ধরছে। তাঁর নিশান তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নীলিমেশ বিশ্বাস ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একই সঙ্গে এবার হুমায়ুন নতুন করে জোট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবার আর আগের মত একা একা লড়াই করবেন না। এবার জোটও তৈরি করবেন। যদিও আগের হুমকিতে হুমায়ুন জোট বার্তা দেননি। তিনি শুধু নিজের ক্ষমতা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন । এবার হুমায়ুন সরাসরি জোটের বার্তা দেন। তিনি বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ-কে নিয়ে একই সঙ্গে লড়াই করার কথা বলেন।