উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী দুই দিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
25
একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক স্থানে অতি ভারী বর্ষণ (৭-২০ সেমি) এবং উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ (৭-১১ সেমি) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়া (বেগ ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা) বয়ে যেতে পারে।
35
বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস
আগামী ২ সেপ্টেম্বর পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। ৩ সেপ্টেম্বরও বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া → ভারী বৃষ্টি (৭–১১ সেমি) সব জেলায় বজ্রঝড়-সহ ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন স্থানে আগামী কয়েক দিন বজ্রঝড় ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে জলজট, যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত এবং নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে। ক্ষেতের সবজি ও উদ্যানপালন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। খোলা মাঠে বজ্রাঘাতের ঝুঁকিও প্রবল।
55
মৎস্যজীবীদের সতর্কবার্তা
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলে ৩৫-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যারফলে দমকা হাওয়া ৫৫ কিমি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।