কীভাবে কোথা থেকে চলল গুলি তা বুঝে ওঠার আগেই গোটা বিয়েবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছুটোছুটি শুরু করে দেন উপস্থিত নিমন্ত্রিত ও অতিথি অভ্যাগতরা।
আর চারটে সাধারণ বিয়েবাড়ির থেকে কোনও পার্থক্য ছিল না। সন্ধে হতেই নিমন্ত্রিতদের আনাগোনা, আলো ঝলমলে একটা সন্ধেতেই কাটছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই বিয়েবাড়ি। চারিদিকে তখন আলো জ্বলে উঠেছে কনেপক্ষ বরপক্ষের ব্যস্ততা তুঙ্গে। সেই মুহুর্তে হঠাৎ কানের কাছে ভয়াবহ আওয়াজ। সে আওয়াজে কানের পর্দা ফাটার উপক্রম।
কীভাবে কোথা থেকে চলল গুলি তা বুঝে ওঠার আগেই গোটা বিয়েবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছুটোছুটি শুরু করে দেন উপস্থিত নিমন্ত্রিত ও অতিথি অভ্যাগতরা। উল্লেখ্য, এই জায়গার থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই চলছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক। গুলির খবরে দ্রুত সেখানে ছুটে যায় পুলিশ প্রশাসন।
আত্মীয়দের দাবি, শেখ বাপ্পা নামে ওই আত্মীয় কাউকে লক্ষ্য করে নেয় এমনিই তাঁর পিস্তল বের করে গুলি চালান। সম্ভবত হিন্দি-বলয়ের বিয়ের স্টাইলে ফিল্মি কায়দা অনুসরণ করে শূন্যে গুলি চালিয়ে সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এমন আচরণে লোকে ভয় পেয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত শেখ বাপ্পাও। এখনও তাঁর খোঁজ মেলেনি বলে খবর। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তবে কোনও বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারত বলে মনে করছেন উপস্থিত নিমন্ত্রিতরা। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত অতিথিরা জানিয়েছেন, নিমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে এক আত্মীয়ই আচমকা গুলি চালান। গুলি আওয়াজ শুনে আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন সকলে। তাঁরা প্রাথমিক ভাবে কোনও দুষ্কৃতী হানার কথাই ভেবেছিলেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চলছে অভিযুক্তেরও খোঁজ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, তা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলের বেশ কাছেই। প্রশাসনিক সভার দিনই এমন ঘটনায় তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন। এলাকায় অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলির খবর পাওয়া গেলেও আদৌ কে চালিয়েছে গুলি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও তা জানা যায়নি।