
Hilsa Fish News: মাত্র দু'দিনের মধ্যেই বাজারে এলো প্রায় ২০০ টন ইলিশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবরে ইতিমধ্যে বহু ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে উপকূলে ফিরছে। ইতিমধ্যে বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা উঠে গিয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ বাজারে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৪০০ টন ইলিশ বাজারে এসেছিল।
এরপর গভীর রাত থেকে বহু ট্রলার নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির খেয়াঘাটগুলিতে আসতে থাকে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ২০০টি ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে উপকূলে ফিরে এসেছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "গত চার বছর ধরে সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। মৎস্যজীবীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০২৫ সালের মরশুমের প্রথমেই ভালো ইলিশের দেখা মিলছে। মৎস্যজীবীরাও খুব খুশি।''
অন্যদিকে, সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে দুর্ষোগ শুরু হওয়ায় তীরে ফিরে আসতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। ফলে গত তিনদিনে বাজারে ৪০০ টন ইলিশ এলেও ফের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে না পারায় হতাশ মৎস্যজীবীরা। কারণ, বর্ষার মরশুমের শুরুতেই সবেমাত্র দেখা মিলেছিল জলের রূপোলি শস্যের। এরই মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কারণ, আবহাওয়া দফতরের তরফে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করায় সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন মৎস্যজীবীরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তা দেওয়ার কারণে তড়িঘড়ি সবাইকে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কারণ, ঝোড়ো হাওয়ার জন্য সমুদ্র এখন উত্তাল। ফলে প্রশাসনের তরফে বিপদ এড়াতে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে তাঁদের উপকূলে ফিরে আসার জন্য। এই অবস্থায় মঙ্গল ও বুধবার রাতের মধ্যে সব ট্রলার নিরাপদে ফিরে এসেছে। আর বেশিরভাগ ট্রলার নোঙর করা হয়েছে, পাথরপ্রতিমার সীতারামপুর, নামখানার হরিপুর ও কেঁদুয়া দ্বীপে।
জানা গিয়েছে, সেখানে ট্রলারগুলি দুই দিন অপেক্ষা করবে। দুর্যোগ কমলে ফের তারা রওনা হবে সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ''সব ট্রলারই সমুদ্র থেকে ফিরেছে। সবাই কমবেশি ইলিশ পেয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০০ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সাইজও ভালো। তবে এই দুর্যোগ কমে গেলে ফের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে রওনা হবে। ফলে আরও ভালো ইলিশ মিলবে এবার।'' আশাবাদী মৎস্যজীবীরাও। তবে এখন দেখার ভরা বর্ষায় ভোজনরসিক বাঙালির পাতে সাইজের ইলিশ পড়ে!
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।