তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে, বাংলা তার রঙের বিন্যাসের জন্য যথার্থই বিখ্যাত!গঙ্গানগরে আজ অনুষ্ঠিত মহাগঙ্গা আরতিটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রাজ্যের অঙ্গীকারের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ
রাজ্যের যুযুধান দুই শিবির তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বর্তমানে দুই দলের মধ্যে গঙ্গা আরতি নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা। দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারকে কলকাতায় গঙ্গা আরতি করতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। তাই নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিতর্ক অব্যাহত। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রসের পক্ষ থেকে এদিন গঙ্গা সাগরে গঙ্গা আরতির বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল। বর্ণাঢ্য এই আরতিতে সামিল হয়েছিলেন দলের নেতা ও কর্মীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে, বাংলা তার রঙের বিন্যাসের জন্য যথার্থই বিখ্যাত!গঙ্গানগরে আজ অনুষ্ঠিত মহাগঙ্গা আরতিটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি রাজ্যের অঙ্গীকারের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই আরতির আয়োজন করা হয়েছিল বলেও জানান হয়েছে দলের পক্ষ তেকে টুইট করে। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলা আগামী দিনে ইতিহাসের পাতায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেবে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই আরতির আয়োজন করা হয়েছে। গত বছরও আরতি হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে তা ছিল অত্যান্ত সাদামাটা। তবে চলতি বছর যে আরতির আয়োজন করা হয়েছে তা অত্যান্ত বর্ণাঢ্য। অযোধ্যা ছেতে ২০ জন পুরহিত এসে সন্ধ্যা অরতি করেছেন। এছাড়াও কলকাতার একটি বিশেষ নৃত্যগোষ্ঠী অনুষ্ঠান করেছিল। এদিন সাগরে আরতি দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। জেলার বিশিষ্ট মানুষদেরও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সাগরমেলা জুড়ে চলবে এই আরতি- জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সাগর মেলা।
তবে এদিন গঙ্গা সাগরে সাগরমেলা উপলক্ষ্যে যে আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ছিল অত্যান্ত বর্ণাঢ্য। সন্ধ্যে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আরতি হয়। উপস্থিত দর্শকদের কথায় সেই সময় গোটা এলাকার পরিবেশই বদলে গিয়েছিল। এই আরতি হরিদ্বারের আরতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় বলেও অনেকে জানিয়েছেন। সাগরমেলায় এবার অরতি বাড়তি পাওনা বলেও দাবী অনেক দর্শানার্থীর।