তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা! ব্যবসায়ীর বাড়িতে তো টাকা থাকবেই, সাফাই জাকির হোসেনের

আয়কর দফতর সূত্রে খবর এই ১৫ কোটি টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক। বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

Web Desk - ANB | Published : Jan 12, 2023 8:13 AM IST

জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল ১৫ কোটি টাকা। কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত চোখ কপালে আয়কর দফতরের। জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, গুদাম, কারখানা থেকে উদ্ধার ১১ হয়েছে কোটি টাকা। বুধবার জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, গুদাম, কারখানায় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কোথা থেকে এল এত নগদ টাকা, খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর। জঙ্গিপুর ছাড়াও দিল্লি ও কলকাতায় অভিযান চালায় আয়কর দফতর। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয় মোট প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

আয়কর দফতর সূত্রে খবর এই ১৫ কোটি টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক। বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সুতি থানার ঔরঙ্গাবাদের বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি। এর পর তল্লাশি শুরু হয় জাকিরের বিড়ি কারখানা, তাঁর দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি বন্ধ থাকা গুদামে। টানা ১৭ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। আয়কর দফতর সূত্রে দাবি, ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে মোট ১৫ কোটি টাকা। টাকার পাশাপাশি, বেশ কিছু নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছেন আধিকারিকরা।

জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৯ কোটি টাকা। যে টাকা একটি কার্টনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল। যার পরই উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। এভাবে কেন লুকিয়ে রাখা ছিল টাকা ? এই টাকার সঙ্গে কোনও হাওয়ালা যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর।এত বিপুল পরিমাণ টাকা আসলে কার ? এই সমস্ত প্রশ্ন বিভিন্ন অফিসের কর্মীদের কাছে জানতে চান আয়কর দফতরের কর্মীরা। যদিও কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ-ই।

এদিকে, গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নিজে। তাঁর বক্তব্য, ব্যবসায়ীর বাড়িতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় নানা কারণে। আয়কর দফতর আগে থেকে তাঁকে জানালে তিনি হিসাব দিতে পারতেন। তিনি আরও জানান ‘‘আমার একাধিক কারখানা রয়েছে। আর সেই সব তেল এবং চালের কারখানার জন্য নগদ টাকা দিয়েই শস্য কিনতে হয়। পাশাপাশি, বিড়ি কারখানায় শ্রমিকদের প্রতি সপ্তাহের শেষে মজুরিও দিতে হয়। বিড়ির মশলার ক্ষেত্রেও অনেক সময় নগদে টাকা মেটাতে হয়। সেই টাকাই বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখা ছিল। এ ভাবে যদি প্রতি ক্ষেত্রে আইনের অজুহাতে বেঁধে ফেলা হয় তবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। দেখি আদালতে কী হয়!’’

Share this article
click me!