
গড়বেতা: নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে এর আগেও বারবার সরব হয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এবার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত বিধ্বস্ত মন্ত্রী। ঘটনার মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকে সিডিপিওর সঙ্গে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সেই সময়ই ওই অফিসে পৌঁছে যান- রাজ্যের মন্ত্রী। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মন্ত্রী কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলার চেষ্টা করলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশ্নবানে মন্ত্রীর চেষ্টা কার্যত বিশবাঁও জলে চলে যায়।
মন্ত্রীকে সরাসরি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশ্ন, সরকারি আধিকারিকদের হাত-পা বাঁধা! কি করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? অঙ্গনারী কর্মীদের বারবার একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে না। এই প্রশ্নই বারবার তুলতে দেখা যায় বিক্ষোভরত অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের।
অন্যদিকে, চন্দননগর কর্পোরেশনে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার চার বিজেপি কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট,সরকারি কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের তালিকা দীর্ঘ। তবে আপাতত চারজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়।
বেহাল রাস্তা সারানো, বেআইনি নির্মাণ বন্ধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের বেহাল দশার প্রতিবাদ সহ সাত দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার চন্দননগর কর্পোরেশনে মেয়রকে স্মারকলিপি দিতে যায় বিজেপি। কর্পোরেশনে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।বিজেপি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। ঠেলাঠেলি হয় দুই পক্ষের। অভিযোগ, এরপর জোর করে কর্পোরেশন অফিসে ঢুকে পরে বিজেপি কর্মীরা।
সূত্রের খবর, মেয়র রাম চক্রবর্তীর ঘরের সামনে বিজেপি দলের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। মেয়রের চেম্বারের সামনে বসে পরে। মেয়র সেই সময় উপস্থিত না থাকায় বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়ে বিজেপি কর্মীরা ফিরে যান। এদিকে এই ঘটনায় চন্দননগরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী, শচীন সিং, রামবাবু সাউ, কিরন অধিকারী ও আনন্দ পাসওয়ানকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের চন্দননগর আদালতে পেশ করে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।