ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায়। পরিবার সূত্র জানা যাচ্ছে জন্মদিনের কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন কোয়েল ও তাঁর পরিবারের লোকজন।
সারা বাড়ি জুড়ে আনন্দের ঢেউ। বেলুন, আলোতে সেজে উঠেছে গোটা বাড়ি। তখনও নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা মামনি হালদার জানতেন না কিছুক্ষণের মধ্যেই সব আলো নিভে চিরতরে নিভে যাবে। মেয়ের জন্মদিনের জন্য কেনাকাটা সেরে সদ্য বাড়ি ফিরেছিলেন। পরিচারিকাকে নিজেই কেক সাজাতে বলে ঘরে ঢুকেছিলেন তরুণী। সেই শেষ। আর কোনও সাড়া মেলেনি কোয়েল হালদারের। সাজানো কেক, আলো, বেলুন পড়েই রইল। ঘর থেকে বেরোল কোয়েলের নিথর দেহ। জন্মদিনের দিনই নিজের জীবন শেষ করে দেন নদিয়ার এই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বড়বাজার এলাকায়। পরিবার সূত্র জানা যাচ্ছে জন্মদিনের কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন কোয়েল ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বাড়ি এসে পরিচারিকাকে কেক সাজাতে বলে নিজের ঘরে ঢোকেন কোয়েল। তারপর আর কোনও সাড়া মেলেনি তরুণীর। অনেক্ষণ ধরে ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় বাড়ির লোকের। বহু ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না মেলায় আতঙ্কিত হয় পরে কোয়েলের বাড়ির লোক। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন তাঁদের প্রতিবেশিরাও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। ঘরের দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া কোয়েলের পাড়ায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাড়ির লোকেরা।