১২০ বছর বয়সে দাঁত গজানোয় এক অভিনব অন্নপ্রাশনের সাক্ষী হলো ধূপগুড়ি মহকুমার বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকা। শিশুসুলভ আনন্দে মেতে উঠে এই অন্নপ্রাশনের আয়োজন করেছেন রুম্পা বর্মনের নাতি-নাতনিরা।
১২০ বছর বয়সে দাঁত গজানোয় এক অভিনব অন্নপ্রাশনের সাক্ষী হলো ধূপগুড়ি মহকুমার বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকা। শিশুসুলভ আনন্দে মেতে উঠে এই অন্নপ্রাশনের আয়োজন করেছেন রুম্পা বর্মনের নাতি-নাতনিরা। তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ এলাকার মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।রুম্পা বর্মনের বয়স এখন প্রায় ১২০।
25
নতুন জীবন
জীবনের এতটা পথ পেরিয়ে এসেও রুম্পা পরিবারের কাছে অমূল্য সম্পদ। সম্প্রতি তার সব দাঁত পড়ে যাওয়ার পর নতুন একটি দাঁত গজাতে শুরু করে। এই অলৌকিক ঘটনাটি দেখে তাঁর নাতি-নাতনিরা সিদ্ধান্ত নেন, এই আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে হবে। ঠিক যেমন একটি শিশুর প্রথম দাঁত ওঠার পর অন্নপ্রাশন হয়, তেমনি তারও একটি বিশেষ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
35
দিদিমার অন্নপ্রাসন মহাধূমধামের সঙ্গে
যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। পাড়া-প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। সকলের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল মাংসের মহাভোজ।
শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, ছোটদের অন্নপ্রাশনের মতোই সমস্ত রীতি-নীতি পালন করা হয়। ঢাকঢোল ও বাজি বাজিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি করা হয়। আনন্দের এই পরিবেশে নাতি-নাতনিরা নিজ হাতে দিদার মুখে ভাত তুলে দেন। সত্যিই বিরল।
55
১২০ বছরে নতুন জীবন ঠাকুমার
সেখানে ১২০ বছর বয়সে দিদার এই নতুন দাঁত গজানোর ঘটনা পরিবারের সদস্যদের জন্য এক দারুণ আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সকল বাসিন্দা। পরিবারের এই সুখবর এবং নাতি-নাতনিদের ভালোবাসার এমন ব্যতিক্রমী প্রকাশ দেখে সকলেই মুগ্ধ।