
ফের সেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু। এবার নিজের ঘর থেকে এক চিকিৎসক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এবার অবশ্য ঘটনাস্থল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ নয়। কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে এই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রী মায়ের সঙ্গে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টার থাকতেন। তাঁর মা চিকিৎসক। তিনি কামারহাটি ইএসআই হাসপাতাল কর্মরতা। মৃতার বাবা মুম্বইয়ে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মী। শুক্রবার রাতে কোয়ার্টারে নিজের ঘর থেকে ২০ বছর বয়সি এই তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কোয়ার্টারে নিজের ঘরে একাই ছিলেন এই এমবিবিএস ছাত্রী। তাঁর মা বেশ কয়েকবার ফোন করে সাড়া পাননি। এই চিকিৎসক পড়ুয়ার বাবা সেই সময় কলকাতায় ছিলেন না। মেয়েকে বারবার ফোন করে সাড়া না পেয়ে কোয়ার্টারে পৌঁছে যান কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের ওই মহিলা চিকিৎসক। তিনি ডেকেও মেয়ের সাড়া পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকতে বাধ্য হন তিনি। ঘরে ঢুকে তিনি মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তখন তিনি মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু এই চিকিৎসক পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তরুণী শান্ত স্বভাবের ছিলেন। তিনি বেশিরভাগ সময় চুপচাপ থাকতেন। কিন্তু তাঁর হঠাৎ কেন এমন পরিণতি হল, তা কেউই বুঝতে পারছেন না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই চিকিৎসক পড়ুয়া অবসাদে ভুগছিলেন। এই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবার-পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'আমি টাকা দেব, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিন,' মদন মিত্রকে পাল্টা আর জি করে নির্যাতিতার বাবা
আরজি কর মামলায় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ, তদন্ত শেষের পথে আদালতে জানাল CBI
'আপনাদের জন্যই মেয়ের ধর্ষক-খুনির সাজা হয়নি' আর জি করে নির্যাতিতার বাবা-মাকে আক্রমণ কুণাল ঘোষের