মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতা শাহের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন অমিত শাহ বাংলার সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। আর সেই কারণেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহকে নিশানা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কেন্দ্রীয় সরকার ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করেছে যা সঠিক নয়। পাশাপাশি তিনি অমিত শাহের সফর নিয়েই তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন ২০২১ সালের নির্বাচনের মতই শুরু করেছে বিজেপি। বলেছেন, বিজেপি ক্যাডারদের চাঙ্গা করার জন্য ৩৫টি আসন জয়ের কথা বলেন। তিনি আরও বলেন বিজেপি আগে ৫টি আসন পেয়ে দেখাক। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অমিত শাহকে নিশানা করেন। তিনি বলেন অমিত শাহ তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তাঁর সরকার ফেলার চক্রান্ত করছেন। আর সেই কারণে তিনি অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় মিটিং করেছেন। কিন্তু সেখানে অমিত শাহ বলেছেন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৫টি আসন পাবে। তারপরই বাংলার সরকার চলে যাবে। অমিত শাহের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মমতা নবান্নে বলেন, বিজেপি সংবিধান মানতে চাইছে না। কোন আইনে বিজেপি বাংলার নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেবে। মমতা আরও বলেন তিনি অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন। পাশাপাশি মমতার অভিযোগ অমিত শাহ বাংলার নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
মমতা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের সংখ্যা বিধানসভায় কমাতে চাইছে সেই কারণেই একের পর এক বিধায়কদের হেনস্থা করছে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, ইডি , সিবিআই লাগিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজ না দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্র মানে না। আর সেই কারণে টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন অমিত শাহ বিজেপির নেতাদের নিয়ে যে বৈঠক করেছে সেখানে সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে। ভোটে জেতার জন্য দাঙ্গাকে হাতিয়ার করতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করে কোনও লাভ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর প্রদেশের একের পর এক এনকাউন্টারের কথা তুলে অভিযোগ করেন উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়লেও কিছু হয় না। কিন্তু বাংলায় সামান্য ঘটনা ঘটলেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানা হয়া। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে তিনশোর বেশি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রে কোনও কিছু হয় না। তিনি আরও বলেন উত্তর প্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকার- অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি সরকার। তাই যোগীকে কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি। তিনি আরও বলেন উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্তের দাবী ওঠেনি। কিন্তু বাংলা হলে তাই হত। বাংলার প্রতি বঞ্চনা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।