
Hooghly News: চার মাস হয়ে গেলো এখনো মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো না,কবে হবে বিচার? বিচার চেয়ে আদালতের সামনে ক্ষোভ উগ্রে দিলেন কানাইপুরের প্রতিবন্ধী নাবালিকার পরিবার। জানা গিয়েছে, গত মে মাসে কোন্নগর কানাইপুরে এক নাবালিকা প্রতিবন্ধীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বাঁশ বাগানে। অভিযোগে এলাকারই এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২ জুন শ্রীরামপুর আদালতে সরকারপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেন। নাবালিকার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
দুমাসের মধ্যে সাক্ষ গ্রহণ শেষ হবে এবং ছমাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করা হবে।আদালতে সরকার পক্ষ থেকে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আবেদন জানানো হবে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, চার মাস অতিক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত মামলাটি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তারা জানতে পারছেন না। আদালতে এসে তারা বিক্ষোভ দেখান।অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন।
ডালসা নিযুক্ত আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, ‘’এই মামলায় আসামিপক্ষের হয়ে আমি দাঁড়িয়েছি। আজ প্রথম একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। মামলায় চল্লিশ জনের বেশি সাক্ষী আছে। সেটা এক দু'মাসে হওয়া সম্ভব নয়। যারা আইন বোঝে আইন জানে তারা বিষয়টা বুঝতে পারবে। নির্যাতিতার পরিবারকে কি বলা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে একজন আইনজীবী তিনিও জানেন এই মামলা দু-তিন মাসে শেষ হওয়া সম্ভব নয়।''
অন্যদিকে, উত্তরপাড়া থানা এলাকায় এক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াকে রাস্তায় শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ এক বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে!উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ পরিবারের,তদন্তে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে হেনস্থা করে একজন মোটর বাইক আরোহী যুবক। বাড়ি ফেরার পথে ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওইদিন বিকেলে ওই নাবালিকা তার বাড়ির অদূরে বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় পিছন থেকে এক মোটর বাইক আরোহী যুবক এসে ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত ওই নাবালিকা চিৎকার চেঁচামেচি করতেই যুবকটি মোটর বাইকের গতি বাড়িয়ে রাজ্য সড়কের দিকে পালিয়ে যায়।
ওই নাবালিকার পরিবার পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু করেছে। ওই নাবালিকার মামা জানান, পুলিশ এই ঘটনার গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। একটাই যুবক ছিল। আমরা ওই যুবককে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি শুরু করেছি। শীঘ্রই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হবে এবং নির্দিষ্ট ধারায় কেস শুরু করে তদন্ত চলছে"।
এই বিষয় এলাকার কাউন্সিলার বলেন, ‘’আমরা এই উত্তরপাড়া দেখতে একদম অভ্যস্ত নই। প্রশাসনকে বলব দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। এলাকায় সিসি ক্যামেরা আরও বাড়াতে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করবো। পুলিশি টহল আরও বাড়াতে আবেদন রাখবো । পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের বলবো, সদা সতর্ক থাকুন। এলাকায় কিছু অন্যায় ও অনিয়ম দেখলেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।