১৯৯৯ সাল থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর ব্যাটিং করে আসছেন। সেখানে তিনি অপ্রতিরোধ্য এখনও পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জমা দিয়েছেন হলফনামা।
তিনি ৫বারের সাংসদ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখ তিনি। প্রায় ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে এখনও লড়ে চলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পরপর পাঁচ বছর একই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন তিনি। আর এবার ষষ্ঠ বারের জন্য সাংসদ হওয়ার দৌঁড়ে বুধবার ঢাকঢোল পিটিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালে বহরমপুরের গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইনস্টিটিউট থেকে তিনি নবম শ্রেণী পাশ করেছিলেন। ১৯৯৯ সাল থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে অধীর ব্যাটিং করে আসছেন। সেখানে তিনি অপ্রতিরোধ্য এখনও পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জমা দিয়েছেন হলফনামা। সেখানেই মোট সম্পত্তির পরিমাণ থেকে শুরু করে পাঁচবারের সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা যায়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক অধীর রঞ্জন চৌধুরী কত টাকার মালিক।
সব মিলিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৭১.০৬ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৪ লক্ষ ৪১ হাজার ১৪৪.৫২ টাকা। তার সন্তানের নামে থাকা মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪ টাকা।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নামে মোট ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে মোট ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এছাড়াও দুজনের নামেই দুটি করে পিপিএফ সহ অন্য খাতে বিনিয়োগ রয়েছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নামে রয়েছে একটি গাড়ি এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে দুটি গাড়ি। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ২০০ গ্রাম সোনার অলংকার রয়েছে, তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫৮৫ গ্রাম সোনার অলংকার। এছাড়াও তার সন্তানের নামে রয়েছে ৮১ গ্রাম সোনার অলংকার।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নামে কোন চাষযোগ্য অথবা অচাষযোগ্য জমি নেই, নিজের নামে নেই কোন বাড়িঘর। তবে অচাষযোগ্য জমি সহ বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে। এক্ষেত্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য হলেও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং সন্তানের নামে রয়েছে ৪৯ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি। এছাড়াও নিজের নামে কোন লোন না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে বাড়ির জন্য ২৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৩২ টাকার লোন রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।