পুলিশ-বিজেপি চাপানউতরের মাঝেই শনিবাড় মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা। নিজেই গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পাঁচলার ওই বিজেপি প্রার্থী।
পাঁচলায় মহিলা নিগ্রহের ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে এই ঘটনাকে মণিপুরের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের DG সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্টই জানিয়েছেন ঘটনার তদন্তে নেমে কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। পুলিশ-বিজেপি চাপানউতরের মাঝেই শনিবাড় মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা। নিজেই গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পাঁচলার ওই বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেছেন,'বেলা ১১টা থেকে ভোট কেন্দ্রে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। আমি বুথেই ছিলাম। আমার চুল মুঠি ধরে এবং শাড়ি ধরে টানা হয়। ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের ঘরগুলোতে ভাঙচুর করা হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবারও তাই হল। আমরা যেখানে থাকি সেখানে সবাই গরিব। সকলেই দিন আনে দিন খায়। আমার এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকুক সেটাই চাই।'
এখানেই শেষ নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। পুলিশ নিজেই মার খেয়ে চলে গিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে নির্যাতিতার স্বামী দাবি করেছেন,'আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। ৮ তারিখ যে ঘটনা ঘটেছে তা মুখে বলার মতো নয়। গত দুটো পঞ্চায়েতে যে অত্যাচার হয়েছে তা সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা এখনও আতঙ্কিত।' তিনি আরও বলেন,'আমি ওই দিনের ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। তীব্র নিন্দা করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্য নন। আর চাওয়া গ্রামে যেন শান্তি থাকে। আমি না থাকলেও যিনি ভোট করতে যাবেন তাঁকে যেন হিংসার মুখে না পড়তে হয়। কে কী বলছে আমি কোনও কথায় কান দেব না।'
প্রসঙ্গত, মহিলা হেনস্থাঢ় ঘটনা ঘতেছে মালদায়ও। মালদায় পকেটমার সন্দেহে দুই মহিলাকে মারধর উন্মত্ত জনতার। মারতে মারতে মহিলারা বিবস্ত্র হয়ে যায় - তাতেই থামেনি উন্মত্ত জনতা। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মণিপুরের পর মালদায়- মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যানিয়ে বর্তমানে সরগরম রাজ্য।