
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত বনগাঁ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ তোলেন তার সঙ্গে দীর্ঘ এক বছর ধরে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল নির্দল কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাস। কিন্তু বর্তমানে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে না, তার কোন খোঁজ নিচ্ছে না। রবিবার রাখি রায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বনগাঁ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাসের বাড়ির সামনে।
নির্যাতিতা মহিলা চিরঞ্জিত বিশ্বাসের শাস্তির দাবি তোলেন। তার অভিযোগ চিরঞ্জিত বিশ্বাস তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহার করেছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে আর না ঘটাতে পারে তেমন ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ! মহিলাকে থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। দীর্ঘক্ষণ টালবাহানার পরে মহিলা কাউন্সিলর এর বাড়ির সামনে থেকে চলে যান। এই বিষয়ে অভিযোগকারী মহিলা বলেন চিরঞ্জিত বিশ্বাস দীর্ঘ এক বছর ধরে তার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। তার কথামত সে বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় ভাড়াবাড়িতে এসে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে চিরঞ্জিত বিশ্বাস তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তিনি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। চিরঞ্জিত বিশ্বাসের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে। মহিলা আরও দাবি করেছেন শাসকদলের নাম ভাঙ্গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে চিরঞ্জিত বিশ্বাস।
যদিওমহিলার সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর চিরঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন মহিলা পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তার সঙ্গে ওই মহিলার ছবি আছে সে প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন এখন এ আই এর মাধ্যমে ছবি করা যায়। যদিও নির্দল কাউন্সিলর এর বাড়ির সামনের এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল একটি ছবি দেখিয়ে জানিয়েছেন চিরঞ্জিত বিশ্বাসের মাথার উপরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি হাত রয়েছে, সেই কারণে পুলিশ তাকে ধরছে না। চিরঞ্জিত বিশ্বাস তৃণমূল করে। যদিও চিরঞ্জিত বিশ্বাস নির্দল কাউন্সিলর বলে দাবি করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ছবি দেখানো প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ও তো অনেকের ছবি আছে তাতে কি হয়েছে। যদি সে দোষী হয় আইনতভাবে তাকে সাজা দেবে।